বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রাক্ষস - Bangla Story

আচ্ছা ভাইয়া, সুইসাইড করলে কি খুব কষ্ট হয়!?" Bangla Story

অপরিচিত একটি মেয়ের এমন মেসেজ দেখে, আমি পুরাই শকড। যাহোক দুপুরবেলা অফিসের কাজে খুব ব্যস্ত সময় পার করছি, ঠিক এমন সময় মেসেঞ্জারের টিউন বেজে উঠলো। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন জানি মেসেজটি ওপেন করলাম। অতঃপর এমন ম্যাসেজ দেখার পর হাত থেকে ফোন পরে যাওয়ার উপক্রম। বিশেষ করে এই আইডিটা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই, মানে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মেয়ে আইডি থেকে মেসেজটি এসেছে। ভেবে পাচ্ছি না কি উত্তর দিব, তারপর মনে হলো হয়তোবা সে আমার সাথে মজা করছে। সেজন্য আমিও একটু ফান করে লিখলাম, Bangla Story
রাক্ষস, bangla story, valobasar golpo, premer golpo, misty prem, ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প,
রাক্ষস - Bangla Story


সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন ভাবে সুইসাইড করতে চান? ভালবাসার বাংলা গল্প, bangla love story
মেয়েটি অবাক হওয়ার ইমু দিয়ে রিপ্লাই করল,
-- মানে!? bangla love story, bangla golpo
-- এই যে ধরুন,
১. আপনি রেল লাইনে মাথা দিলেন তাহলে আপনার শরীর থেকে মাথাটা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবে। এতে করে সাময়িক ব্যথা অনুভব হবে, তবে সেটা বেশিক্ষণ থাকবে না। শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ হালকা নাড়াচাড়া দিয়েই ইহলোক ত্যাগ করবেন!
২. আর যদি মনে করেন কোন টাওয়ার বা উঁচু ভবন থেকে লাফ দিবেন তাহলে আপনি জীবনে একসাথে দুইটা স্বপ্ন সফল করলেন এক আকাশে ওড়া আবার সুইসাইড করাও হল। অতঃপর ফ্লোরে পড়ার পর বডিটা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রাণ পাখিটা আবার উপর দিকে উড়ে চলে গেল। এখানে বলা যায়, নিউটনের তৃতীয় সূত্র কাজ করলো আর এটা ভেবে আপনার কষ্টটা কম হবে! Bangla Story
৩. এছাড়াও যদি....
আমার ৩ নং পয়েন্ট সেন্ড হওয়ার আগেই মেয়েটি বলল,
-- আপনি মজা নিচ্ছেন? জানেন আমি কতটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি?
-- না বললে কেমনে জানবো, তাছাড়া পৃথিবীতে এমন কোন কষ্টই আবিষ্কার হয়নি, যেটার জন্য কাউকে সুইসাইড করতে হবে। কেননা প্রবলেম যেমন আছে তার সলিউশন আছে!
-- হ্যাঁ সেটা জানি কিন্তু আমি যে কোন সল্যুশন পাচ্ছিনা। দিন দিন এই কষ্টটা আমাকে আরও বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরছে এবং বারবার মরে যেতে ইচ্ছে করতেছে।
-- তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় নক করেছেন, আপনাকে আমি হেল্প করবো আর বেঁচে থাকার জন্য নতুন স্বপ্ন দেখাবো!
-- ধন্যবাদ ভাইয়া, আমারও মন বলছিল আপনিই পারবেন।
মেয়েটির কথা শুনে আমি দ্বিতীয়বারের মতো শক খেলাম। কেননা এই মেয়ের ১৪ গুষ্টির কাউকে আমি চিনি কিনা সন্দেহ আছে অথচ সে বলছে আমি নাকি পারবো এটা সে জানে। সেজন্য কিঞ্চিৎ সন্দেহ পোষণ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-- বিষয়টা ক্লিয়ার না! valobasar golpo, bangla golpo
-- কোনটা?
-- এই যে আমি আপনাকে হেল্প করতে পারবো।
-- ও আচ্ছা এই ব্যাপার। আপনি হয়তো জানেন না, আমি আপনার একজন অন্ধ ভক্ত কিন্তু সাইলেন্ট ফলোয়ার। আপনার প্রতিটা গল্পই আমি তিন চারবার করে পড়ি, তারপরও মন ভরে না। ইচ্ছে করে আরও কয়েকবার পড়ি‌।
হোক মেয়েটি অপরিচিত কিন্তু এমন ভূয়সী প্রশংসাতে মনটা ভেতরে ভেতরে নেচে উঠল। যদিও জানি এটা "বাঁদরের গলায় মুক্তার মালা" দেয়ার মতন প্রশংসা। তারপরও বলুন, প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। যাহোক একটু খুশি মনে আগ বাড়িয়ে বললাম,
-- ধন্যবাদ, কিন্তু আমার গল্পে এতটা মোহিত করার মত কিছু কি আছে?
-- হ্যাঁ অবশ্যই। আপনার প্রতিটা লেখার মধ্যে একটা মোটিভেশনাল ব্যাপার থাকে, আর সেটা অন্য আট- দশজনের মতো সচরাচর সস্তা প্রেমের গল্প না।
যাহোক এখন একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছিল, সেজন্য টপিক চেঞ্জ করার জন্য বললাম: বাংলা ভালবাসার গল্প
-- এবার বলুন তো কেন সুইসাইড করতে চাচ্ছিলেন?
অতঃপর মেয়েটি জানায়, bangla story
"সে বিবাহিতা এবং দুই সন্তানের জননী। ওহ নামটাই তো বলা হয়নি, মেয়েটির নাম নিশা। যাহোক নীশার স্বামী একটা ভালো জব করে কিন্তু তাঁকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে না। হঠাৎ একদিন একটা ছেলে তাঁকে নক দেয়, যদিও প্রথম দিকে সে রেসপন্স করতো না। কিন্তু ধীরে ধীরে ছেলটির কেয়ারিং, শেয়ারিং, রেসপেক্টিং ও সিন্সারিটি দেখে নিশার ভালো লাগা শুরু হয়। একচুয়্যালী ভালো লাগা বলতে, নিশার একঘেয়েমি ও বোরিং সময়কে এনজয় করার জন্য একটা ভালো বন্ধু পেয়ে গেল। আইমীন প্রথমদিকে ওদের সম্পর্কটা বন্ধুত্ব দিয়েই শুরু হয়, তারপর ধীরে ধীরে সেটা কখন যে ভালোবাসাতে রূপ নেয় বুঝতেই পারে না। তবে হয়তো ছেলেটি বুঝতে পারে, কেননা সে তো এইজন্যই এগিয়ে আসছিল। যাহোক তারপরে ওরা দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বাংলা ভালবাসার গল্প
অতঃপর সম্পর্কের তিনমাস পরে ওরা প্রথম দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়‌। ঢাকার একটা ফাইভ স্টার রেস্তোরাঁয় ওরা প্রথম মিলিত হয়। চার চোখের মিলনেই যেন প্রেমের ঘন্টা আরও গভীরভাবে বেজে উঠলো। দুজন দুজনের উপর আরো বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়লো। ও হ্যাঁ এখানে সামান্য একটু ঘাটতি রয়ে গেছে, সেটা হলো দুজনের অবয়ব সম্পর্কে কিছুটা বলা উচিত। বাংলা ভালবাসার গল্প
নিশা ২৬ বছরের ছিমছাম গড়নের অপরূপ সুন্দরী রমণী। হয়তোবা প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে জীবনানন্দের বনলতা সেন- "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা!"এতটাই সুশ্রী ও অলংকার মাখা পুরো শরীর, এ যেন সৃষ্টিকর্তার হাতে সযতনে গড়া কোন নারী মূর্তি।
অপরদিকে ছেলেটি মোটামুটি হ্যান্ডসাম, তবে তাঁর স্পেশালিটি ছিল চোখ। এই চোখের জাদুতে যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারতো, হয়তোবা সেজন্যই ঐ চোখে চোখ রেখে নেশাতে বিভোর হয়ে যায় নিশা। তারপর রেস্তোরাঁর ভেতরেই একে অপরের ঠোঁটে ডুব দেয়, যেন অমৃত এখানেই লুকিয়ে আছে। এরপর যখন দুজনেই আরও কিছু চাহিদা অনুভব করল, ঠিক তখনই ছেলেটি নিশার কানে কানে বলল-
"চলো একান্তে দুজন হারিয়ে যাই!" বাংলা রেপ কাহিনী
ছেলেটির প্রস্তাবের প্রতুত্তরে নিশা নীরবে সম্মতি জানালো। এরপরে ওরা দ্রুত পা রাখল আবাসিক হোটেলে, যেখানে চার দেয়ালের ভিতর বন্দি হয়ে মেতে উঠলো চরম সুখ লাভে। যদিও সেদিন হাতে সময় কম ছিল, কেননা ইতিমধ্যে রেস্তোরাঁতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছিল; সেজন্য তড়িঘড়ি করে ডুব দেয় অথৈ সাগরে। যদিও শরীরের ঘ্রাণ ও কাঁচা মাংসের স্বাদ পুরোটা পেল না, তবুও অজানা একটা তৃপ্তি নিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে এলো দুজন। এরপর আর ওরা থেমে থাকেনি, সুযোগ পেলেই মিলিত হয়ে যেত উদ্যোম আলিঙ্গন ও ষোল কলা পূরণে! bangla story
বেশ ভালোই চলছিল দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কিন্তু একদিন নিশা জানতে পারল ছেলেটি বিবাহিত। যদিও প্রথমদিকে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল কিন্তু পরক্ষনেই কাটিয়ে উঠল। কেননা সে বুঝতে পারলো, তাদের সম্পর্কটা যতটা না ভালোবাসার; তার থেকেও বেশি শরীরের। তাহলে তার বউ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। যাহোক তারপরও চলছিল তাদের গোপন অভিসার। ছেলেটি নিশার নিকট থেকে অনেক গিফট পেত কিন্তু নিশার খাতা শুন্যই থেকে যায়। এতে নিশার কোন আপত্তি ছিল না, কেননা সে ছিল অন্য কিছুতে মত্ত। তারপর একদিন হুট করেই ছেলেটি জানালো-
"সম্পর্ক আর কন্টিনিউ করা সম্ভব নয়, কেননা তাঁর স্ত্রী সবটা জেনে গেছে। এতে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ সহ ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে!"
অতঃপর ছেলেটি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কিন্তু নিশা কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারেনি। প্রতিনিয়ত তাকে তুষে পোড়া আগুনের মত দহন করতে থাকলো। সময় মত খাবার গোসল কোন কিছুই হচ্ছে না, ঠিক যেন বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে। যদিও নিশার স্বামী খুবই ভদ্র ও শান্তশিষ্ট স্বভাবের এবং স্ত্রীর কোনও চাওয়াকে অপূর্ণ রাখেনি। এমনকি নিশা যদি কখনো কাশি দিয়ে ওঠে, তাহলে ডাক্তার কবিরাজ সব এক করে ফেলে। বলতে পারেন স্বামী হিসেবে সে পারফেক্ট কিন্তু কখনও প্রেমিক হতে পারেনি। নিশার মন কি চায় বা শারীরিক চাহিদা দুটোতেই ছিল তার উদাসীনতা। পরিবারের বড় সন্তান ও ছোটবেলাতে বাবা হারিয়ে ঠিকই দায়িত্বশীলতা পেয়েছিলো কিন্তু কখনও মন পড়তে পারাটা শিখে নি। রোমান্স, রোমান্টিকতা, ঝুম ঝুম বৃষ্টি, শিরশির হাওয়া, ক্যান্ডেল নাইট, কিংবা শীতের রাতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে অনুভবে হারিয়ে যাওয়া, এগুলো যেনো তাঁর সিলেবাসের বাইরে। হয়তোবা সেজন্যই নিশার জীবনে অন্য কারোর আগমনে এতটা প্রভাব ফেলে!"
..
..
যা হোক আমার সাথে নিশার এত কথা হয়ে গেল কিন্তু‌ সে ঘুণাক্ষরেও ছেলেটির নাম মুখে উচ্চারণ করেনি। আমি জিজ্ঞেস করাতে বলল,
-- কিছু চ্যাপ্টার না হয় পাতার নিচেই পড়ে রইলো।
তখন আমি সহমত জানিয়ে ছেলেটির নাম দিলাম "রাক্ষস"। আমার দেয়া নামে সে মৃদু হেসে বলল,
-- বাহ্ লেখক সাহেব, চমৎকার একটা নাম দিয়েছেন।
-- আমিতো কারও চরিত্র বা গল্পের পটভূমি উপর নির্ভর করে নাম দিয়ে থাকি। হয়তোবা সে জন্যই রাক্ষস নামটা আপনার মন ছুঁয়ে গেল।
-- সত্যিই আপনি তো কথার জাদুকর!
-- ধন্যবাদ, তবে আপনি যে একটা পঁচা শামুকে পা কেটেছেন সেটার প্রমাণ অচিরেই দিব। তার আগে বলুন সুইসাইড করলে কি লাভ?
-- এই যন্ত্রণা থেকে তো মুক্তি পাব!
-- ভুল, কেননা আত্মহত্যা কোন কিছু থেকেই মুক্তি দেয় না! যেখানে আত্মহত্যা মহাপাপ এবং মৃত্যুর পরে সরাসরি জাহান্নাম। আর যেখানে শাস্তি ভোগ করতে হবে চিরকাল, সেটা পৃথিবীর কষ্টের থেকে কত গুণ বেশি সেটা আপনি নিজেও জানেন।
-- হ্যাঁ।
-- এবার আসুন, ছেলেটি সম্ভবত আপনার সাথে একটা গেইম খেলছে আর আপনি সেটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছেন।
-- গেইম!?
-- হুম, বর্তমানে কিছু উঠতি বয়সের ছেলে বা তার উর্ধ্বে; তারা বিভিন্ন বিবাহিতা মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে বিছানা অব্ধি নিয়ে আসে। অতঃপর হয়তো কোনভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। আবার অনেক সময় এর থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু হয়। তবে আপনার কপাল ভালো আপনি তাদের খপ্পরে পড়েন নি।
এছাড়াও আরও একটা দল আছে যারা বিকৃত মনের অধিকারী। মানে এরা ওয়াইল্ড সেক্স করতে পছন্দ করে। তবে এদের বেশিরভাগ বিবাহিত। এরা এক জিনিসে বেশিদিন আকৃষ্ট থাকে না, এমনকি ঘরের স্ত্রীতেও নয়। এদের কাজ হল, কোন সুন্দরী বিবাহিতা মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিছানাতে নিয়ে ওয়াইল্ড সেক্স করা। এরা বিবাহিতা মেয়ে এজন্য বাছাই করে, যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। অতঃপর কিছুদিন গেলে আকর্ষণ কমে যায়, তারপর নয়া শিকারে বের হয়। তবে হ্যাঁ পরবর্তী শিকার না পাওয়া পর্যন্ত এরা প্রথম জনকেই সেক্সডল হিসাবে ইউজ করতে থাকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার এরা নিজের স্ত্রীকেও একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে সেক্স করে! তার মানে আপনি একজন বিকৃত মনের লোকের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন!
-- নাহ্, আমি বিশ্বাস করি না। সে আমাকে এখনও অনেক ভালোবাসে।
-- কোন অ্যাঙ্গেলে আপনার মনে হল?
-- সেটা বলতে পারবো না, তবে মন বলছে। তাছাড়া হয়তো তাঁর স্ত্রী কারনে আমার সাথে ব্রেকআপ করেছে।
-- তাঁর স্ত্রী তো একদিনে পয়দা হয়নি, নিশ্চয়ই সে বিয়ে করেছে 5- 7 বছর হয়ে গেছে।
-- হ্যাঁ সেটা ঠিক, তার দাম্পত্য জীবন চলছে আট বছর।
-- এই তো লাইনে আসছেন। তাছাড়া যে পুরুষ নিজের স্ত্রী- পরিবারকে ভালোবাসতে পারেনি, সে কি করে আপনাকে ভালোবাসবে? কেননা সে যদি নিজের স্ত্রী- পরিবারকে ভালোই বাসতো তাহলে সে কখনো দ্বিতীয় নারীর কাছে আসতো না!
-- সত্যিই আমি কত বোকা!?
-- বোকা বা সরলতা যাই বলুন, তবে আপনার কপাল কিছুটা ভাল। কেননা রাক্ষসের স্ত্রীটা রাক্ষসের মতন বিকৃত মনের নয়। এরকম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষের স্ত্রীরা অনেক সময় স্বামীর মতোই বিকৃত মনের হয়ে থাকে। তখন স্বামীটি অন্য মেয়েদের সাথে কি রকম করে সেক্স করে, সেটা তার সাথে শেয়ার করতে হয় এবং সেখান থেকে মজা নিয়ে ওরা ওয়াইল্ড‌ সেক্স করে। এমনকি যে মেয়েকে সে ফাঁদে ফেলে, তাকে নিজের বাসা বাড়িতে নিয়ে স্ত্রীর সামনেই বা স্ত্রীসহ গ্রুপ সেক্স করে।
তবে এখানে সম্ভবত রাক্ষসের স্ত্রীটা খুবই নিরীহ, অসহায় ও সহজ সরল টাইপের! এমনকি স্বামী কোথায় কি করে কিচ্ছু জানে না। অথবা তার স্বামী সম্পর্কে সবই জানে, এমনকি প্রচন্ড রকমের ঘৃণাও করে কিন্তু ছেড়ে যেতে পারছে না! হয়তো সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে, নয়তো অন্য কোন কারণে!
এবার মেয়েটি কোন রিপ্লাই না দিয়ে শুধু কান্নার ইমোজি দিচ্ছে। হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছে, ব্যাপারটা আসলেই কি ছিল। নিজের ও রাক্ষসের সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমার বলা কথা থেকে হিসেব মিলিয়ে নিচ্ছে। যাহোক আমিও আর ঘাটলাম না, শুধু এতোটুকু বললাম:
হয়তোবা আপনাদের ব্রেকআপ হয়েছে এক মাসের মতো কিন্তু লক্ষ্য করুন একবারের জন্যেও সে আপনার খোঁজ নেয়নি। কিন্তু আপনি শুধু একদিনের জন্য পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখুন, আপনার স্বামী- সন্তান, বাবা- মা কতটা পাগল হয়ে যায় আপনার খোঁজ নেওয়ার জন্য। যারা আপনার রক্ত ও আত্মার সাথে মিশে আছে, আপনিও তাদের সাথে মিশে থাকুন। শরীরের চাহিদা না হয় স্বামীর প্রতি জোর খাটিয়ে আদায় করে নিবেন।bangla golpo, বাংলা গল্প
আর থাকলো মনের চাহিদা? তাহলে শুনুন, চিরন্তন অপ্রিয় সত্য কি জানেন- bangla story, ভালবাসার গল্প, প্রেমের
"পৃথিবীতে কেউ কখনো কারো মত হয় না, এটা করে নিতে হয়!" আপনিও স্বামীকে সময় দিন, নিজের মতন করে গড়ে নিন, দেখবেন ঠিক মনের মতো হয়ে গেছে। আর হ্যাঁ মনের ভুলেও আত্মহত্যার কথা মুখেও আনবেন না। বিশেষ করে, মন খারাপের সময়টাতে একদম একা থাকবেন না, স্বামী- সন্তান ও পরিবারের সঙ্গ বেছে নিন! bangla story


লেখা- এম এইচ নীলয়
Disqus Comments