দশম
শ্রেণিতে পরিক্ষায় পাস
করে
কলেজে
ভর্তি
হলাম। আশে
পাশে
তেমন
ভাল
কলেজ
না
থাকায়
বাড়ি
থেকে
২৫
কিলোমিটার দুরে
একটা
ভাল
কলেজে
ভর্তি
হলাম।
--ওখানে আমার
বাবার
পরিচিত
এক
বন্ধুর
বাসায়
থেকে
পড়াশুনা করার
সিদ্ধান্ত নিলো
বাবা।
--আজকে কলেজে প্রথম দিন।
--আমি কলেজের
গেটের
সামনে
এসে
কিছুক্ষণ দাড়িয়ে
দাড়িয়ে
দেখলাম
কলেজের
পরিবেশটা অসাধার
সুন্দর।
--আজকে প্রথম
কলেজে
যাচ্ছি
আমার
মনের
ভিতরে
একটা
অন্যরকম আনান্দ
যেটা
বলে
বুঝাতে
পারবোনা।
--আমি ভদ্র
ছেলের
মতো
করে
কলেজের
ভিতরে
ঢুকে
সোজা
ক্লাসের দিকে
যাচ্ছি। এমন
সময়
কে
যেনো
আমার
পিছনে
কলম
ছুড়ে
মারলো।
আমি
রাগি
লুক
নিয়ে
পিছনে
ঘুরে
দেখি
একটা
মেয়ে
হি
হি
করে
হাসতেছে দেখতে
অসাধারন সুন্দর।
--আমি মেয়েটির দিকে
এগিয়ে
আসলাম...
--এই মেয়ে
তোমার
সাহসতো
কম
না
তুমি
আমার
গায়ে
কলম
ছুড়ে
মারো
( আমি
রাগি
লুক
নিয়ে)
--এই তোর
সাহসতো
কম
না
তুই
আমার
উপর
চোখ
রাঙিয়ে
কথা
বলছিস।
আর
তোর
গায়ে
আমি
কলম
ছুড়ে
মারতে
যাব
কেন।
--আপনি আমার
সাথে
ডাহা
মিথ্যা
কথা
বলতেছেন। এখানে
আর
অন্য
কাউকে
তো
দেখছিনা যে
আমার
গায়ে
অন্য
কেউ
কলম
ছুড়ে
মারবে।
---এই তুই
জানিস
আমি
কে..?
--আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মেয়ে
হোন
না
কেনো
সেটা
আমার
দেখার
টাইম
নাই।
আপরিচিত কারো
সাথে
কিভাবে
কথা
বলতে
সেটা
আপনার
বাবা
মা
আপনাকে
শিখায়
নি
নাকি।
আমার
সাথে
তুই
করে
কথা
বলছেন।
--তোর এতো
বড়
সাহস
তুই
আমার
বাবা
মা
তুলে
কথা
বলছিস।(
মেয়েটি
রাগি
লুক
নিয়ে)
--যারা মানুষকে সম্মান
দিয়ে
কথা
বলতে
পারেনা
তাদের
সাথে
আবার
কি
ভাবে
কথা
বলবো।
--এমন ঝগড়া
করতে
করতে
পিছন
থেকে
কে
যে
আমার
কান
চিপ্পা
ধরে
টান
দিলো।
আমি
পিছন
ঘুরে
দেখি
স্যার।
--এই ছেলে
কি
হয়েছে
এখানে
তুমি
এমন
মেয়েদের সাথে
ঝগড়া
করছো
কেনো।
--দেখুন না
স্যার
আমি
আজকে
প্রথম
কলেজে
আসছি।
আর
এই
মেয়েটা
পিছন
থেকে
আমার
গায়ে
কলম
ছুড়ে
মেরেছে
এখন
আপনি
এর
বিচার
করুন।
--এই বেয়াদপ
ছেলে
মেয়েদের কিভাবে
সন্মান
দিতে
হয়
জানোনা। এখানে
দাড়িয়ে
মেয়েদের সাথে
ঝগড়া
করছো।
কান
ধরে
বলো
আর
কখনো
আর
মেয়েদের সাথে
ঝগড়া
করবো
না।
--এটা আবার
কেমন
বিচার
দোষ
করলো
ও
আর
আমাকে
কান
ধরতে
হবে
আমাকে.....
--স্যার ও.......
--এই কথা
বলতেই
স্যার
আমার
দিকে
রাগি
লুক
নিয়ে
ধমক
দিয়ে
এই
ছেলে
তুমি
কান
ধরে
এদের
সামনে
বলো
আর
কখনো
মেয়েদের সাথে
খারাপ
ব্যবহার করবোনা। এখন
আমার
কি
আর
করার
ধরলাম
কান।
আমার
কানে
হাত
দেওয়া
দেখে
মেয়েটা
দাত
বের
করে
হি
হি
করে
হাসছে।
--স্যার আবার
আমাকে
ধমক
দিয়ে
এখানে
দাড়িয়ে
আছ
যাও
ক্লাসে
যাও।
--স্যারে এমন
কথা
শুনে
তো
আমি
অবাক।
তারপর
আমি
ওখান
থেকে
হাটা
শুরু
করলাম।
--আমি পিছন
ঘুরে
তাকিয়ে
দেখি
স্যার
মেয়েটার মাথায়
হাত
বুলিয়ে
দিয়ে
বলছে
যাও
মা
তুমিও
ক্লাসে
যাও।
--আজ যেহেতু
কলেজে
প্রথম
দিন
তেমন
কাউ
চিনিও
না
তাই
কিছু
নতুন
বন্ধুদের সাথে
পরিচিত
হলাম।
--আমার এক
নতুন
বন্ধু
আমাকে
জ্বিগাসা করছে...
কিরে
দোস্ত
স্কুলের গেটের
সামনে
যে
মেয়েটির সাথে
ঝগড়া
করছিলি
তুই
কি
ওই
মেয়েটাকে চিনিস..?
--কেন আমি
ওই
বজ্জাত
কলার
কাধি
ওই
মেয়েটাকে চিনে
আমি
কি
করবো।আর ও
সব
ফালতু
মেয়েদের সাথে
পরিচিত
হওয়ার
টাইম
নাই।
---আরে বোকা
তুই
যার
সাথে
ঝগড়া
করছিলি
ওটা
কার
মেয়ে
তুই
জানিস...?
--কার মেয়ে...?
--আরে দোস্ত
ওটা
আমাদের
কলেজের
এক
স্যারের মেয়ে।
সময়
থাকতে
তুই
মেয়েটার কাছে
ক্ষমা
চেয়ে
নিস।
ওই
মেয়ের
জন্য
কতো
জন
যে
কলেজ
ছেড়ে
চলে
গেছে
তার
কোনো
ঠিক
নাই।
--এই দোস্ত
ওটা
স্যারের মেয়ে
তুই
আমাকে
আগে
বলিস
নাই
কেন
। এখন যদি
আমাকেও
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেয়।
আর
আমিতো
অজান
তে
অনেক
কিছু
বলে
ফেলেছি।
--তুই এখন
দেখ
কি
করবি
তোর
কপাল
যদি
ভাল
হয়
তাহলে
বেচে
গেলি।
--আমিতো খুব
চিন্তায় পড়ে
গেলাম
এখন
যদি
আমাকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেয়
তাহলে
বাবা
আমাকে
গাছের
সাথে
বেধে
লাঠি
দিয়ে
পিটাবে। আর
মেয়েটিও আমার
এক
ক্লাস
আগে
পড়ে
। এসব কিছু
ভাবতে
ভাবতে
ছুটির
ঘন্টা
বেজে
গেলো।
আমি
বাড়ির
দিকে
রওনা
দিলাম।
--দুর এখনো
আমার
পরিচয়টা তো
আপনাদের দেওয়া
হয়
নি।
আমি
সিয়াম
বাপের
বেঙ্কার ছেলে
থুক্কু
বেঙ্কার না
বেকার
ছেলে।
বাবা
মা
জানে
আমি
খুব
শান্ত
এবং
ভদ্র
একটি
ছেলে
কিন্ত
আমার
বন্ধুরা সবাই
জানে
আমি
কতোটা
অভদ্র।
--যাই হোক
এবার
বাড়ি
যায়।..
--এমন সময়
কে
জেনো
আমাকে
পিছন
থেকে
ডাক
দিলো...
--এই শয়তান
ভিতুর
ডিম
এদিকে
আয়
--পিছন ঘুরে
দেখি
সেই
গুন্ডি
মেয়েটা....এবার তো দেখছি
ও
একা
নয়
সাথে
আরো
কয়েকটা
মেয়ে
পেন্ট
আর
শার্ট
গায়ে
ওর
পাশে
দাড়িয়ে
আছে।
--আমি ভয়ে
ভয়ে
সামনে
এগিয়ে
গিয়ে.....
জ্বী
আপনারা
কি
আমাকে
ডাকছেন...?
--ওদের ভিতর
থেকে
একটা
মেয়ে
বলে
উঠলো
দোস্ত
এই
মালটা
কলেজে
নতুন
কি
করা
যায়
দেখতে
তো
একেবারে নাদুস
নুদুস।
--ওদের এমন
কথা
শুনে
আমি
ভয়
পেয়ে
গেলাম
হাত
পা
কাপতে
শুরু
করলো।আমি বললাম..
--ছি ছি আপনারা আমার মতো একটা বাচ্চা ছেলেকে মাল বলছেন কেনো আপনাদের ঘরে কি বাবা ভাই নেই। আমার পথ ছেড়ে দিন আমি বাড়ি যাবো।ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
--কেনো....?(আমি)
--তোর এতো
বড়
সাহস
হয়
কি
করে
তুই
আমার
সাথে
ভাব
নিয়ে
কথা
বলিস।
আজ
তোর
খেলা
দেখাবো। ( মেয়ে)
--ছি ছি
এটা
আপনি
কি
বলতেছেন।। একটা
ছেলের
সাথে
একটা
মেয়ে
খেলা
করবে
আজবতো।। আর
আমি
আগে
কখনো
মেয়েদের সাথে
খেলিনাই তাই
মেয়েদের সাথে
খেলতে
আমার
লজ্বা
করে।(আমি)
--ওই হ্লা
হারামি
কি
বললি
তুই।
(মেয়ে)
--আচ্ছা আমার
একটা
সাদা
মনের
প্রশ্ন
যদি
অনুমতি
দেন
তাহলে
করবো...?(আমি)
--কি বলবি
বল?(মেয়ে)
---ইয়ে মানে
তেমন
কিছুা
না
আসলে
আপনি
ছেলে
না
মেয়ে...?
--আমার এমন
কথা
শুনে
মেয়ে
তো
রেগে
শেষ।।
--ওই বেটা
আমাকে
দেখে
কি
তোর
ছেলে
মনে
হয়..?(মেয়ে)
--না মানে
আপনি
তো
আমাকে
সালা
বললেন
সেই
জন্য
বলছি
আর
কি।
আর
মেয়েরা
তো
এমন
শার্ট
পেন্ট
পরে
না
সেই
জন্য
আমিও
কনফিউজড।। (আমি)
--তার পর
মেয়েটা
আমার
শার্টের কলার
চিপ্পা
ধরে
আমার
কাছে
আসোতো
সোনা
তোমাকে
একটু
আদর
করি।।(মেয়ে)
--ইশ আমার
লজ্বা
করে
না
বুঝি
এখানে
দাড়িয়ে
এসব
কিছু
করলে
মানুষে
দেখে
ফেলবে
তো।(আমি)
--তাই বুঝি
তোর
এতো
লজ্বা..
এই
বলে
ওর
বান্ধবিরা মিলে
আমাকে
ঘুষি
আর
থাপ্পড়
দেওয়া
শুরু
করলো।
--আমি দুধের
বাচ্চার মতো
করে
চুপচাপ
এই
গুন্ডি
মেয়েদের অমানবিক নির্যাতন সহ্য
করে
গেলাম।।
--মাইর শেষে..
বললাম
না
তোকে
খেলা
দেখাবো। খেলা
কেমন
দেখলি...?(মেয়ে)
--আহা দারুন
খেলা
দেখলাম
জীবনে
এর
আগে
কখনো
এমন
খেলা
দেখিনি। মেয়েদের হাতের
মাইর
যে
এতো
মজা
আগে
জানতাম
না
মাইর
এর
সাথে
মনে
হচ্ছে
দিল্লির লাড্ডু
খাচ্ছি। (আমি)
--তাই এতো
মজা
দাড়া
আবার
দিচ্ছি
এই
দোস্ত
ওকে
ধর
আবার
দেওয়া
শুরু
করলো
মাইর
এর
উপ্রে
মাইর।(মেয়ে)
--প্লিজ প্লিজ
গুন্ডা
বাহিনি
থুক্কু
গুন্ডি
বাহিনি
আমাকে
আর
মারবেন
না
--কি আমরা
গুন্ড
দাড়া
দেখাচ্ছি মজা।(মেয়ে)
--প্লিজ প্লিজ
আর
মজা
দেখতে
চাই
না
এমনিতে
অনেক
মজা
দেখেছি।। এবার
যদি
মজা
দেখান
তাহলে
আমি
পুরো
অম্লেট
হয়ে
যাবো।
(আমি)
--আচ্ছা ঠিক
আছে।(
মেয়ে)
--বলেন এখন
কি
করলে
আমি
এই
অপরাধ
থেকে
মুক্তি
পাবো।
(আমি)
--আচ্ছা তাহলে
একটা
গান
শোনা
তাহলে
তোকে
ছেড়ে
দেবো।
(মেয়ে)
--গুন্ডি মেয়েটার দিকে
হাত
বাড়িয়ে
গান
শুরু
করলাম..ওই পথে যখন
আমি
যাই
মাঝে
মাঝে
একটা
গুন্ডি
মেয়ে
দেখতে
পাই
প্যান্টও পরেছে
আবার
শার্টও
পরেছে
ওই
গুন্ডি
মেয়েটা
আমার
আচ্ছা
মতো
মাইর
দিয়েছে।।
--আমার গান
শুনে
তো
ওরা
দাত
বের
করে
হি
হি
করে
হাসতেছে।
--ওই থাম
তোকে
আর
গান
শুনাতে
হবে
না।
তোর
এমন
গানের
আমি
গুষ্টি
কিলায়।(মেয়ে)
--কেনো এত্তো
সুন্দর
ককিল
কন্ঠে
একটা
গান
বললাম
আপনাদের ভাল
লাগেনি।(আমি)
--থাক হয়ছে
তোর
গান
শুনে
হাসতে
হাসতে
আমার
পেট
ব্যাথা
করছে।(
মেয়ে)
--ও পেট
ব্যাথা
করছে
তাহলে
এক
কাজ
করুন
বাড়ি
গিয়ে
একটা
গেসের
ট্যাবলেট খেয়ে
নেবেন
সব
ক্লিয়ার হয়ে
যাবে।
(আমি)
--ওই আমার
গ্যাসটিক হয়নি
পেট
ব্যাথা
করছে...
সালা
ভিতু
রাম
(মেয়ে)
--কি আর
করবো
বলেন
আপনাদের মতো
এমন
গন্ডার
যদি
কাউকে
নির্যাতন করে
তাহলে
সে
যতো
বড়
বীর
পুরুষ
হোক
না
কেনো
সে
এমনিতেই বিড়ালের মতো
ম্যাও
ম্যাও
করবে।(আমি)
--এই দোস্ত
এই
বেটা
কি
বলে
শুনেছিস আমরা
না
কি
গন্ডার।ওদের ভিতর
থেকে
মটু
মতো
করে
একটা
মেয়ে
বললো
দোস্ত
এই
সালাকে
আবার
গনধোলায় দিতে
হবে
তাছাড়া
এ
আমাদের
দেখে
ভয়
পাবে
না।
--প্লিজ আমাকে
আর
মারবেন
না।
আমাকে
ছেড়ে
দিন
আর
কখনো
আপনাদের সাথে
বেয়াদবি করবো
না।
আর
বাড়ি
ফিরতে
দেরি
হলে
আঙ্কেল
আমাকে
মেরে
হাড্ডি
আর
মাংস
গুলো
আলাদা
করে
ফেলবে।
--হাহাহা দোস্ত
হাতির
মতো
এতো
বড়
ছেলে
বলে
কি
না
দেরি
হয়ে
গেলে
আঙ্কেল
মারবে।
--প্লিজ আপনারা
এমন
হা
করে
হাসবেন
না
মুখের
ভিতরে
মশা
ঢুকে
যাবে।
আমি
আজকের
মতো
যাই
টা
টা
বাই
বাই।
--আবার আমার
শার্টের কলার
চিপে
ধরলো
এই
হারামি
তুই
আবার
কোথায়
যাস
চুপচাপ
এখানে
দাড়িয়ে
থাক।।
--প্লিজ আমাকে
যেতে
দিন
আমার
না
খুব
ইয়ে
পেয়েছে। (আমি)
--ইয়ে মানে
কি
আগে
বল।(মেয়ে)
--ও মোর
আল্লাহ
এ
আমি
কার
পাল্লায় পড়লাম
এতো
বড়ো
একটা
হাতির
মতো
মেয়ে
ইয়ে
মানেটাও বোঝেনা। (আমি)
--ওই শালা
হারামি
তুই
আমাকে
আবার
হাতি
বললি
কেন
আর
ইয়ে
মানে
কি
আগে
বল।।(মেয়ে)
--আমার কিন্ত
খুব
কষ্ট
হচ্ছে
প্লিজ
আমাকে
যেতে
দিন।(আমি)
--ওই আগে
বল
ইয়ে
মানে
কি
তার
পর
তোকে
ছাড়বো।(মেয়ে)
--এবার মনে
হয়
হয়ে
গেলো
রে
(আমি)
--কি হয়ে
গেলো
আগে
বলবিতো
(মেয়ে)
--আরে আমার
পেন্ট
নষ্ট
হয়ে
গেল
ইয়ে
মানে
টাও
বোঝেন
না।।
ইয়ে
মানে
হয়লো
আমার
হিসু
পেয়েছে।(আমি)
--ওই হারামি
তুই
আগে
বলবিনা
যে
তোর
হিসু
লেগেছে
ইয়ে
ইয়ে
করছিলি
কেন।
(মেয়ে)
--বা রে
আপনাদের মতো
এতো
বড়ো
গুন্ডি
দের
সামনে
এমন
কথা
বলতে
আমার
লজ্বা
করেনা।(আমি)
--ওরে লজ্বা
বতি
ছেলেরে
তোর
এতো
লজ্বা(মেয়ে)
--তার পর
আমার
জামার
কলার
টা
ছেড়ে
দিলো
আমি
টয়লেটের দিকে
দিলাম
দৌড়
পিছন
ঘুরে
তাকিয়ে
দেখি
মেয়ে
গুলোও
আমার
পিছু
পিছু
দৌড়ে
আসছে।
--আমি থমকে
দাড়িয়ে
গেলাম.....
--এই যে
আপনারা
আমার
পিছু
পিছু
আসছেন
কেনো
আমাকে
কি
হিসুটাও শান্তিতে করতে
দিবেন
না।(আমি)
--ওরে বেটা
তোরে
আমি
হাড়ে
হাড়ে
চিনি
তুই
যদি
পালিয়ে
যাস।(
মেয়ে)
--তাই বলে
কি
আমার
সাথে
সাথে
টয়লেটের ভিতরেও
যাবেন।
(আমি)
--ওই তুই
ফালতু
কথা
বাদ
দিয়ে
তোর
কাজ
সেরে
আয়
আমরা
বাইরে
দাড়িয়ে
থাকছি।(মেয়ে)
--তার পর
ভিতরে
ঢুকে
পড়লাম।
বাইরে
এসে
দেখি
গুন্ডি
মেয়ে
গুলো
ঠিক
সেখানেয় দাড়িয়ে
আছে।
--আবার সবাই
মিলে
আমাকে
ঘিরে
ধরলো।
--এই আপনারা
আমার
কাছে
কি
চান
বলুন
তো
কেনো
আপনারা
আমার
সাথে
এমন
করছেন।(আমি)
--কি চাই
মানে
তোকে
এই
কলেজে
আসা
বন্ধ
করে
দেবো
মানে
আমার
আব্বুকে বলে
তোকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো।(মেয়ে)
--বললেই হলো
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো
আর
আপনার
আব্বু
কোন
গ্রামের প্রধান
মন্ত্রী তাই
আমাকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দিবেন।।(আমি)
--তুই কি
বললি
আমার
বাবা
গ্রামের মন্ত্রী। তোরে
আমি
খাইছি.....!
না
তোর
পথ
ছাড়বোনা।(মেয়ে)
--কেনো....?(আমি)
--তোর এতো
বড়
সাহস
হয়
কি
করে
তুই
আমার
সাথে
ভাব
নিয়ে
কথা
বলিস।
আজ
তোর
খেলা
দেখাবো। ( মেয়ে)
--ছি ছি
এটা
আপনি
কি
বলতেছেন।। একটা
ছেলের
সাথে
একটা
মেয়ে
খেলা
করবে
আজবতো।। আর
আমি
আগে
কখনো
মেয়েদের সাথে
খেলিনাই তাই
মেয়েদের সাথে
খেলতে
আমার
লজ্বা
করে।(আমি)
--ওই হ্লা
হারামি
কি
বললি
তুই।
(মেয়ে)
--আচ্ছা আমার
একটা
সাদা
মনের
প্রশ্ন
যদি
অনুমতি
দেন
তাহলে
করবো...?(আমি)
--কি বলবি
বল?(মেয়ে)
---ইয়ে মানে
তেমন
কিছুা
না
আসলে
আপনি
ছেলে
না
মেয়ে...?
--আমার এমন
কথা
শুনে
মেয়ে
তো
রেগে
শেষ।।
--ওই বেটা
আমাকে
দেখে
কি
তোর
ছেলে
মনে
হয়..?(মেয়ে)
--না মানে
আপনি
তো
আমাকে
সালা
বললেন
সেই
জন্য
বলছি
আর
কি।
আর
মেয়েরা
তো
এমন
শার্ট
পেন্ট
পরে
না
সেই
জন্য
আমিও
কনফিউজড।। (আমি)
--তার পর
মেয়েটা
আমার
শার্টের কলার
চিপ্পা
ধরে
আমার
কাছে
আসোতো
সোনা
তোমাকে
একটু
আদর
করি।।(মেয়ে)
--ইশ আমার
লজ্বা
করে
না
বুঝি
এখানে
দাড়িয়ে
এসব
কিছু
করলে
মানুষে
দেখে
ফেলবে
তো।(আমি)
--তাই বুঝি
তোর
এতো
লজ্বা..
এই
বলে
ওর
বান্ধবিরা মিলে
আমাকে
ঘুষি
আর
থাপ্পড়
দেওয়া
শুরু
করলো।
--আমি দুধের
বাচ্চার মতো
করে
চুপচাপ
এই
গুন্ডি
মেয়েদের অমানবিক নির্যাতন সহ্য
করে
গেলাম।।
--মাইর শেষে..
বললাম
না
তোকে
খেলা
দেখাবো। খেলা
কেমন
দেখলি...?(মেয়ে)
--আহা দারুন
খেলা
দেখলাম
জীবনে
এর
আগে
কখনো
এমন
খেলা
দেখিনি। মেয়েদের হাতের
মাইর
যে
এতো
মজা
আগে
জানতাম
না
মাইর
এর
সাথে
মনে
হচ্ছে
দিল্লির লাড্ডু
খাচ্ছি। (আমি)
--তাই এতো
মজা
দাড়া
আবার
দিচ্ছি
এই
দোস্ত
ওকে
ধর
আবার
দেওয়া
শুরু
করলো
মাইর
এর
উপ্রে
মাইর।(মেয়ে)
--প্লিজ প্লিজ
গুন্ডা
বাহিনি
থুক্কু
গুন্ডি
বাহিনি
আমাকে
আর
মারবেন
না
--কি আমরা
গুন্ড
দাড়া
দেখাচ্ছি মজা।(মেয়ে)
--প্লিজ প্লিজ
আর
মজা
দেখতে
চাই
না
এমনিতে
অনেক
মজা
দেখেছি।। এবার
যদি
মজা
দেখান
তাহলে
আমি
পুরো
অম্লেট
হয়ে
যাবো।
(আমি)
--আচ্ছা ঠিক
আছে।(
মেয়ে)
--বলেন এখন
কি
করলে
আমি
এই
অপরাধ
থেকে
মুক্তি
পাবো।
(আমি)
--আচ্ছা তাহলে
একটা
গান
শোনা
তাহলে
তোকে
ছেড়ে
দেবো।
(মেয়ে)
--গুন্ডি মেয়েটার দিকে
হাত
বাড়িয়ে
গান
শুরু
করলাম..ওই পথে যখন
আমি
যাই
মাঝে
মাঝে
একটা
গুন্ডি
মেয়ে
দেখতে
পাই
প্যান্টও পরেছে
আবার
শার্টও
পরেছে
ওই
গুন্ডি
মেয়েটা
আমার
আচ্ছা
মতো
মাইর
দিয়েছে।।
--আমার গান
শুনে
তো
ওরা
দাত
বের
করে
হি
হি
করে
হাসতেছে।
--ওই থাম
তোকে
আর
গান
শুনাতে
হবে
না।
তোর
এমন
গানের
আমি
গুষ্টি
কিলায়।(মেয়ে)
--কেনো এত্তো
সুন্দর
ককিল
কন্ঠে
একটা
গান
বললাম
আপনাদের ভাল
লাগেনি।(আমি)
--থাক হয়ছে
তোর
গান
শুনে
হাসতে
হাসতে
আমার
পেট
ব্যাথা
করছে।(
মেয়ে)
--ও পেট
ব্যাথা
করছে
তাহলে
এক
কাজ
করুন
বাড়ি
গিয়ে
একটা
গেসের
ট্যাবলেট খেয়ে
নেবেন
সব
ক্লিয়ার হয়ে
যাবে।
(আমি)
--ওই আমার
গ্যাসটিক হয়নি
পেট
ব্যাথা
করছে...
সালা
ভিতু
রাম
(মেয়ে)
--কি আর
করবো
বলেন
আপনাদের মতো
এমন
গন্ডার
যদি
কাউকে
নির্যাতন করে
তাহলে
সে
যতো
বড়
বীর
পুরুষ
হোক
না
কেনো
সে
এমনিতেই বিড়ালের মতো
ম্যাও
ম্যাও
করবে।(আমি)
--এই দোস্ত
এই
বেটা
কি
বলে
শুনেছিস আমরা
না
কি
গন্ডার।ওদের ভিতর
থেকে
মটু
মতো
করে
একটা
মেয়ে
বললো
দোস্ত
এই
সালাকে
আবার
গনধোলায় দিতে
হবে
তাছাড়া
এ
আমাদের
দেখে
ভয়
পাবে
না।
--প্লিজ আমাকে
আর
মারবেন
না।
আমাকে
ছেড়ে
দিন
আর
কখনো
আপনাদের সাথে
বেয়াদবি করবো
না।
আর
বাড়ি
ফিরতে
দেরি
হলে
আঙ্কেল
আমাকে
মেরে
হাড্ডি
আর
মাংস
গুলো
আলাদা
করে
ফেলবে।
--হাহাহা দোস্ত
হাতির
মতো
এতো
বড়
ছেলে
বলে
কি
না
দেরি
হয়ে
গেলে
আঙ্কেল
মারবে।
--প্লিজ আপনারা
এমন
হা
করে
হাসবেন
না
মুখের
ভিতরে
মশা
ঢুকে
যাবে।
আমি
আজকের
মতো
যাই
টা
টা
বাই
বাই।
--আবার আমার
শার্টের কলার
চিপে
ধরলো
এই
হারামি
তুই
আবার
কোথায়
যাস
চুপচাপ
এখানে
দাড়িয়ে
থাক।।
--প্লিজ আমাকে
যেতে
দিন
আমার
না
খুব
ইয়ে
পেয়েছে। (আমি)
--ইয়ে মানে
কি
আগে
বল।(মেয়ে)
--ও মোর
আল্লাহ
এ
আমি
কার
পাল্লায় পড়লাম
এতো
বড়ো
একটা
হাতির
মতো
মেয়ে
ইয়ে
মানেটাও বোঝেনা। (আমি)
--ওই শালা
হারামি
তুই
আমাকে
আবার
হাতি
বললি
কেন
আর
ইয়ে
মানে
কি
আগে
বল।।(মেয়ে)
--আমার কিন্ত
খুব
কষ্ট
হচ্ছে
প্লিজ
আমাকে
যেতে
দিন।(আমি)
--ওই আগে
বল
ইয়ে
মানে
কি
তার
পর
তোকে
ছাড়বো।(মেয়ে)
--এবার মনে
হয়
হয়ে
গেলো
রে
(আমি)
--কি হয়ে
গেলো
আগে
বলবিতো
(মেয়ে)
--আরে আমার
পেন্ট
নষ্ট
হয়ে
গেল
ইয়ে
মানে
টাও
বোঝেন
না।।
ইয়ে
মানে
হয়লো
আমার
হিসু
পেয়েছে।(আমি)
--ওই হারামি
তুই
আগে
বলবিনা
যে
তোর
হিসু
লেগেছে
ইয়ে
ইয়ে
করছিলি
কেন।
(মেয়ে)
--বা রে
আপনাদের মতো
এতো
বড়ো
গুন্ডি
দের
সামনে
এমন
কথা
বলতে
আমার
লজ্বা
করেনা।(আমি)
--ওরে লজ্বা
বতি
ছেলেরে
তোর
এতো
লজ্বা(মেয়ে)
--তার পর
আমার
জামার
কলার
টা
ছেড়ে
দিলো
আমি
টয়লেটের দিকে
দিলাম
দৌড়
পিছন
ঘুরে
তাকিয়ে
দেখি
মেয়ে
গুলোও
আমার
পিছু
পিছু
দৌড়ে
আসছে।
--আমি থমকে
দাড়িয়ে
গেলাম.....
--এই যে
আপনারা
আমার
পিছু
পিছু
আসছেন
কেনো
আমাকে
কি
হিসুটাও শান্তিতে করতে
দিবেন
না।(আমি)
--ওরে বেটা
তোরে
আমি
হাড়ে
হাড়ে
চিনি
তুই
যদি
পালিয়ে
যাস।(
মেয়ে)
--তাই বলে
কি
আমার
সাথে
সাথে
টয়লেটের ভিতরেও
যাবেন।
(আমি)
--ওই তুই
ফালতু
কথা
বাদ
দিয়ে
তোর
কাজ
সেরে
আয়
আমরা
বাইরে
দাড়িয়ে
থাকছি।(মেয়ে)
--তার পর
ভিতরে
ঢুকে
পড়লাম।
বাইরে
এসে
দেখি
গুন্ডি
মেয়ে
গুলো
ঠিক
সেখানেয় দাড়িয়ে
আছে।
--আবার সবাই
মিলে
আমাকে
ঘিরে
ধরলো।
--এই আপনারা
আমার
কাছে
কি
চান
বলুন
তো
কেনো
আপনারা
আমার
সাথে
এমন
করছেন।(আমি)
--কি চাই
মানে
তোকে
এই
কলেজে
আসা
বন্ধ
করে
দেবো
মানে
আমার
আব্বুকে বলে
তোকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো।(মেয়ে)
--বললেই হলো
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো
আর
আপনার
আব্বু
কোন
গ্রামের প্রধান
মন্ত্রী তাই
আমাকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দিবেন।।(আমি)
--তুই কি
বললি
আমার
বাবা
গ্রামের মন্ত্রী। তোরে
আমি
খাইছি.....!
--আমার এমন
কথা
শুনে
গুন্ডি
মেয়েটা
রাগে
জ্বলতেছে।
---তাহলে আপনার
বাবা
কি
সেটা
বলবেন
তো..?(আমি)
--আমার বাবা
এই
কলেজের
ইংরেজি
ডিপার্টমেন্টের স্যার।(মেয়ে)
--আ আপনার
বাবা
এই
কলেজের
স্যার।
---আ নাই
হ্যা
আমার
বাবা
এই
কলেজের
স্যার।
--আমি সরি
সরি
না
জেনে
আমি
আপনাকে
অনেক
কিছু
বলে
ফেলেছি
প্লিজ
কিছু
মনে
করবেন
না।
---তোর সরির
গুষ্টি
মারি
তুই
আমার
বাবা
কে
নিয়ে
বাজে
কথা
কেন
বললি।
তোকে
আমি
এই
কলেজে
আসা
বন্ধ
করে
দেবো।
--আমি একটু
কান্না
স্বরে
বললাম
দেখুন
আমি
এই
কলেজে
অনেক
কষ্ট
করে
ভর্তি
হয়েছি
ভাল
করে
পড়ার
জন্য
প্লিজ
আমাকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দিবেন
না।
(একটু
চাপা
মারলাম)
--আহারে বেচারা
অনেক
কষ্ট
করে
পড়ছিস
আগে
বলবিনা
আচ্ছা
সরি।
--আহা যাই
হোক
চাপা
মারাটা
কাজে
লেগেছে
(মনে
মনে)
--তাহলে আজকে
আমি
যাই
বেচে
যদি
থাকি
তাহলে
কালকে
আবার
দেখা
হবে।।
(আমি)
--আচ্ছা ঠিক
আছে
যা।
(মেয়ে)
--যাওয়ার আগে
একটা
কথা
বলতাম
(আমি)
--কি বলবি
বল..?(মেয়ে)
--তেমন কিছু
না
আমার
কাছে
আসেন
কানে
কানে
বলি।(আমি)
---আচ্ছা বল....?(মেয়ে)
--চুলে কি
শ্যাম্পু দিয়েছেন আহা
চুলের
গন্ধ
টা
দারুন।(আমি)
--মেয়েটা একটা
মিষ্টি
হাসি
দিয়ে
আমার
পেন্টের পকেটের
ভিতরে
হাত
ঢুকিয়ে
দিয়ে
মানি
ব্যাগটা বের
করে
পাঁচশো
টাকার
একটা
নোট
বের
করে
নিলো।
--এই আপনি
এটা
কি
করছেন...?
--চুলে গন্ধ
নিয়েছিস তুই
তাই
তোর
কাছে
পাঁচশো
টাকা
বকশিস
নিলাম।
(মেয়ে)
--কেলো করে
পাঁচশো
টাকা
মেরে
দিলো(
মনে
মনে)
---আগে জানতাম
বকশিসের টাকা
খুশি
করে
দেয়
আর
আপনি
জোর
করে
কেনো
নিচ্ছেন গুন্ডি
মেয়ে
একটা।
(আমি)
--এই তুই
আবার
গুন্ডি
বললি
দাড়া
তুই
তোকে
মজা
দেখাচ্ছি।(মেয়ে)
--এই কথা
শুনা
মাত্রয়
আমি
দিলাম
দৌড়।অনেক মজা
দেখেছি
আর
দেখতে
চাই
না।
--এক দৌড়ে
বাড়ি।
--বাড়ি এসে
আব্বুর
বন্ধু
মানে
আমার
আঙ্কেল
আর
আঙ্কেলের স্ত্রী
তার
মানে
আমার
আন্টি।
একটা
কথা
বলতে
ভুলে
গেছি
আন্টির
একটা
মেয়ে
আছে
অষ্টম
শ্রেণীতে পড়ে
ওর
নাম
রিয়া।
--বাড়ি আসতেই.......
---কি বেপার
প্রথম
দিন
কলেজে
গিয়ে
বাড়ি
আসতে
এতো
দেরি
কেন।।
না
কলেজ
থেকে
বাসায়
মন
চাই
ছিলো
না..?(আন্টি)
--কি আর
বলবো
আগে
আমাকে
এক
গ্লাস
ঠান্ডা
পানি
দেন।
--আন্টি আবার
রিয়াকে
বললো
পানি
দেওয়ার
জন্য
পানি
খাওয়া
পরে??
--এবার বল
কি
হয়েছিলো এতো
দেরি
হলো
কেন...?
(আন্টি)
---আরে কি
আর
বলবো
কলেজে
গিয়ে
একটা
গুন্ডি
মেয়ের
পাল্লায় পড়ে
ছিলাম।(আমি)
---তাই তো
তার
পর
কি
হলো.?(আন্টি)
--তার পর
আন্টির
সাথে
সব
বললাম
যা
কিছু
হয়েছে।
আমার
এমন
কথা
শুনে
আন্টি
আর
রিয়া
হা
হা
হা
হা
করে
হেসে
উড়িয়ে
দিলো।
--আমি আন্টি কে বললাম আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে তাড়াতাড়ি খেতে দাও। খাওয়া শেষে আন্টি বললো রিয়া কে পড়াতে।ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
সেই
সাথে
আমিও
একটু
পড়ে
নিলাম।। পড়া
শেষ
করে
ঘুমিয়ে
পড়লাম।।
--এই ভাইয়া
উঠো
আর
কতোক্ষণ ঘুমাবে
সকাল
নয়টা
বেজে
গেছে।কলেজে কখন
যাবে
(মিম)
--দুর আজকেউ
দেরি
হয়ে
গেল
একটু
আগে
ডেকে
দিতে
পারতি।(আমি)
--ঘুম থেকে
উঠে
তড়ি
ঘড়ি
করে
সকালের
নাস্তা
কলেজে
চলে
গেলাম।
--আসতে পারি
(আমি)
---না........(স্যার)
---কেন স্যার...?(আমি)
--এই তোমরা
কি
ওকে
কেউ
চেনো....?
স্যার
ক্লাসের সবার
উদ্দেশ্য করে
বললো।
--আমাকে দেখে
সবাই
হা
হা
হা
করে
হাসছে।
অতোপর
আমি
বললাম...
--স্যার আমি
গত
কালকে
নতুন
ভর্তি
হয়েছি।
--নতুন ভর্তি
হয়েছো
ভাল
কথা
কিন্ত
তোমাকে
দেখে
তো
স্টুডেন্ট মনে
হয়
না।(স্যার)
--কেনো স্যার
আমাকে
দেখে
কি
আপনার
অন্য
কিছু
মনে
হচ্ছে...?(আমি)
---বিয়াদপ ছেলে
তোমার
নিচের
দিকে
তাকিয়ে
দেখো।
--আমি নিচের
দিকে
তাকিয়ে
লজ্বায়
পড়ে
গেলাম।
---আসলে স্যার
সরি
ঘুম
থেকে
উঠতে
একটু
দেরি
হয়ে
গিয়েছিলো তাই
তাড়াতাড়ি করে
পেন্টের বদলে
লুঙ্গি
পরে
চলে
আসছি।
আমার
লুঙ্গি
পরে
কলেজে
আসা
দেখে
সবাই
দাত
বের
করে
হা
হা
হা
করে
হাসতেছে।
---বদ মাইস
ছেলে
এটা
তোমার
বাসা
না
এটা
কলেজ
যাও
চেন্জ
করে
আসো।(স্যার)
--সরি স্যার
আমি
এখনি
চেন্জ
করে
আসছি।
--তার পর
বাসায়
গিয়ে
লুঙ্গিটা চেন্জ
করে
পেন্ট
পরে
আসলাম।
--কলেজে ঢুকতেই
এক
বন্ধু
বলতেছে.......
---কিরে দোস্ত
স্যারের মেয়ে
তোকে
খুজতেছিলো।(বন্ধু)
--আরে দোস্ত
এতে
অবাক
হওয়ার
কিছু
নেই
আমার
মতো
একটা
হ্যান্ডসাম ছেলেকে
অনেকে
খবর
রাখে।(আমি)
--দোস্ত আরেক
বার
বলতো
আমাকে
কে
খুজতেছে।
--আরে দোস্ত
স্যারে
মেয়ে
(বন্ধু)
---দোস্ত আমার
চল্লিশা খাওয়ার
দাওয়াত
তোকে
দিয়ে
রাখলাম
আর
ভুল
করে
থাকলে
ক্ষমা
করে
দিস।
(আমি)
---তুই এমন
কথা
বলতেছিস কেন।
(বন্ধু)
--আরে দোস্ত
আমাকে
যখন
স্যারের মেয়ে
খুজতেছে তাহলে
তো
আমাকে
মেরেয়
ফেলবে।(আমি)
--কিছুক্ষণের মধ্যে
দেখি
গুন্ডি
মেয়েটা
আমার
সামনে
উপস্থিত।আমাকে জোর
করে
কলেজের
ফিল্টিতে নিয়ে
গেলো।
---আজ তোকে
আমি
কি
যে
করবো
নিজেও
জানিনা।(মেয়ে)
--ছি ছি
আপনি
একটা
মেয়ে
হয়ে
একটা
ছেলেকে
এমন
কথা
বলতে
পারলেন
আর
এখানে
এসব
করলে
সবাই
তো
দেখবে।(আমি)
---কি বললি
হারামজাদা... এই
বলে
দিলো
ঠাস
ঠাস
করে
দুইটা
দুই
গালে।
---সকালে কি
নাস্তা
না
করে
কলেজে
এসেছেন
না
কি।(আমি)
--কেনো......?..(মেয়ে)
---উফ এতো
আস্তে
কি
কেউ
চড়
মারে।
(আমি)
---আবার দিলো
ঠাস
ঠাস
করে
দুই
গালে
দুইটা
থাপ্পড়।
---এই আপনি
এতো
খারাপ
কেনো
এবার
কিন্ত
আমার
খুব
জোরে
লেগেছে। (আমি)
--তুই কি
বললি
আমি
খারাপ
অfবার
দিবো
দেখবি।
(মেয়ে)
---এই প্লিজ
আর
না
এবার
কিন্ত
আমি
সত্যি
সত্যি
কান্না
শুরু
করবো।(আমি)
---তুইতো মারের
এখনো
কিছু
দেখিসনি নি
এবার
তোকে
বেত
দিয়ে
পিটাবো
তুই
অনেক
ফাজলামি শেখেছিস।(মেয়ে)
--আমি একটু
অভিনয়
করে
বললাম......
---হ্যা আপনারা
আমাকে
মেরে
ফেলুন
আমি
আর
বাঁচতে
চাই
না।
এতো
কষ্ট
আমার
আর
ভালো
লাগছেনা।
--আহারে বেচারা
শেষ
পর্যন্ত মরার
সিদ্ধান্ত নিলো।
তোর
এতো
মরার
ইচ্ছা
কি
ভাবে
জাগল।(মেয়ে)
---আজ গরিব
বলে
সবাই
আমাকে
যে
যেমন
পারে
সে
সেই
রকম
ভাবে
কষ্ট
দিচ্ছে। আজ
সকালে
ঘুম
থেকে
উঠতে
দেরি
হয়ে
গিয়েছিলো তাই
কিছু
না
খেয়ে
কলেজে
চলে
আসছি
আপনারাই বলুন
আমার
এই
পৃথিবীতে বেচে
থেকে
কি
লাভ।
(আমি
একটু
চাপা
মারলাম)
--তাই তুই
আজকে
না
খেয়ে
কলেজে
এসেছি।
(মেয়ে)
--শুধু না
খেয়ে
না
আবার
আজকে
কলেজে
এসেছিলাম ভুল
করে
লুঙ্গী
পরে
কি
আর
কমু।(আমি)
--আমার এমন
কথা
শুনে
হা
হা
হা
হা
করে
হেসে
উফফফফফ
তুই
এতো
ফান
করিস
কি
ভাবে।
(মেয়ে)
--দেখুন এমন
করে
হাসবেন
না
এদিকে
আমার
পেটের
ভিতরে
ক্ষুধার্ত ইদুর
গুলো
কিচির
মিচির
করছে(আমি)
--ওকে তাহলে
চল(মেয়ে)
--কোথায় যাবো(আমি)
--চল ক্যান্টিনে (মেয়ে)
--তারপর কেন্টিনে গেলাম
গিয়ে
সেই
রকম
খাবারের অর্ডার
দিলো।
--আমি তখন
বললাম
আচ্ছা
এতো
খাবারের অর্ডার
দিচ্ছেন এক
টাকাও
কিন্ত
আমি
দিতে
পারবোনা।
--ওই হারামি
তুই
খাবার
খাবি
না
মাইর
খাবি
টাকা
নিয়ে
তোকে
চিন্তা
করা
লাগবেনা টাকা
আমি
দেবো।
(মেয়ে)
---আমি (মনে
মনে)
কালকে
আমার
পাঁচশো
টাকার
নোট
গচ্ছা
গেছে
আজ
আমিও
সেই
টাকা
পেট
ভরে
খেয়ে
তুলে
নেব।
---এই না
না
আমি
খাবোনা
আপনি
এতো
টাকা
কোথায়
পাবেন(একটু চাপা মারলাম)
--তোকে বললাম
না
টাকা
নিয়ে
কোনো
টেনশন
করা
লাগবেনা(মেয়ে)
--তার পর
মেয়েটার দিকে
তাকিয়ে
দেখি
রাক্ষুসের মতো
করে
খাচ্ছে।
---হে আল্লাহ
তুমি
পৃথিবীতে একটা
রাক্ষস
ও
পাঠিয়েছো বটে।
(আমি)
---কিরে তুই
কিছু
বললি...?(মেয়ে)
---কই নাতো
কিছু
তেমন
কিছু
বলি
নি
বললাম
যে
আহা
কতো
দিন
যে
এমন
খাবার
খাই
নি(আমি ডাহা মিথ্যা
বললাম)
---আচ্ছা তোর
সাথে
এতো
কিছু
হয়ে
গেলো
তোর
নামটাই
তো
এখনো
জানা
হলো
না।
(মেয়ে)
-- আমার নাম
জেনে
আপনার
কোনো
কাম
নাই।
(আমি)
--ও বুঝছি
তোর
মুখ
থেকে
নাম
বের
করতে
হলে
তোকে
বেত
দিয়ে
পিটাতে
হবে।(মেয়ে)
--এই না
না
প্লিজ
আর
পিটানি
খেতে
চাই
না
বলছি।(আমি)
---হুম তাড়াতাড়ি বল
(মেয়ে)
--আমার বাড়ি
বরিশাল
জেলায়
এখানে
বাবার
এক
বন্ধুর
বাড়ি
থেকে
পড়াশুনা করছি।(আমি)
---ওই হারামি
আমি
তোর
নাম
জানতে
চাইছি
তোর
বাড়ি
কোথায়
জানতে
চাই
নি।
আগে
নাম
বল...?(মেয়ে)
--আগ্গে মহারানি আমার
নাম
সিয়াম
(আমি)
--ও আচ্ছা
আর
আমার
বাড়ি
এখানেই।(মেয়ে)
---তাই তো
বলি
একটা
মেয়ের
এতো
সাহস
হয়
কি
করে।
আমার
বাড়ি
যদি
এখানে
স্থানীয় হতো
তাহলে
কি
যে
করতাম
তার
কোনো
ঠিক
নাই।(আমি)
---এই কি
বললি
কি
করতি
বল...?(মেয়ে)
---কি আর
করতাম
আপনাকে
নিয়ে
পার্কে
সিনেমা
হলে
যেতাম
বাইকে
করে
ঘুরে
বেড়াতাম আর
মাঝে
মাঝে
বাইকে
ব্রেক
দিতাম
আহা
কি
যে
আনান্দ
লাগছে
আমার
(আমি)
---এই কথা
যাহা
বললাম
দুই
গালে
দুই
থাপ্পড়।
----কি হলো
আপনি
আমাকে
থাপ্পড়
মারলেন
কেনো
কি
করলাম
আমি..?(আমি)
---ওই হারামি
তুই
এ
সব
কি
বলছি
আমাকে
বাইকে
চড়িয়ে
বাইকে
ব্রেক
দিতি
থাপ্রাইয়া তোর
দাত
ভেঙ্গে
দেবো।
এসব
স্বপ্ন
দেখা
বাদ
দে।(মেয়ে)
--দুর আমার
আর
ভালো
লাগেনা
মনে
হচ্ছে
যেনো
আমি
লোকাল
বাস
হয়ে
গেছি
যে
যেমন
পারে
সে
তেমন
আমার
উপর
নির্যাতন করে
যাচ্ছে।(আমি)
-তুই একটু
বেশি
বুঝে
গেছিস
তোকে
আবার
মনে
হয়
পিটানি
দিতে
হবে।
(মেয়ে)
--প্লিজ জীবনে
অনেক
পিটানি
খেয়েছি
আর
না। (আমি)
---আচ্ছা আপনার
নামটা
তো
এখনো
জানা
হলো
না
আপনার
নামটা
কি.?(আমি)
--আমার নাম
জেনে
তোর
কোনো
কাজ
তাই
আমার
না
তোর
জান
লাগবেনা।(মেয়ে)
--আচ্ছা আমার
নামটা
কেমন
বললেন
নাতো...?
(আমি)
--অনেক সুন্দর। (মেয়ে)
-- তাই আমার
নামটা
আপনার
পছন্দ
হয়েছে...?। (আমি)
---মানে তুই
কি
বলতে
চাইছিস...?
--না মানে
তেমন
কিছু
না
নাম
পছন্দ
করা
মানে
তাকেও
তো
পছন্দ
করা।
(আমি)
---তার মানে
তুই
বলতে
চাইছিস
আমি
তোকে
পছন্দ
করি
তাই
তো
(মেয়ে)
--কেনো ভুল
কিছু
বলেছি
না
কি।(আমি)
--টেবিলের উপরে
একটা
ছুরি
ছিলো
সেটা
হাতে
নিয়ে
তোকে
আমি
একদম
কেঁটে
ফেলবো
হারামি।(মেয়ে)
---এই না
না
প্লিজ
আমাকে
ছুরির
ভয়
দেখাবেন না।
আমি
না
বেশি
ভয়
পেলে
পেন্ট
নষ্ট
করে
ফেলি।
(আমি)
--পেন্ট নষ্ট
করে
ফেলিস
মানে..?(মেয়ে)
---আমি (মনে
মনে)
এমন
ঢং
করছে
যেনো
দেখে
মনে
হচ্ছে
কচি
খুকি
এখনো
ফিডার
খাই।
---কিরে চুপ
করে
আছিস
কেন.
আগে
বল...?(মেয়ে)
---আমি বেশি
ভয়
পেন্টে
হিসু
করে
ফেলি(আমি)
---হা হা
তাই
তুই
এতো
তাহলে
তো
তোর
সব
কেটে
নেবো।
(মেয়ে)
---এই না
না
প্লিজ
এমন
কথা
বলবেন
না
একটা
জায়গা
বাদে
সব
কেটে
নিয়েন
সব
কেটে
নিলে
তো
আমি
বাবা
ডাক
শুনতে
পাবোনা।(আমি)
---এই হারামি
তোর
কি
কোন
লজ্বা
সরম
কিছু
নেই
ছি
ছি
কি
বলছি
এসব।
(মেয়ে)
--না মানে
আসলে
আমি
বলতে
চাইছি
যে
আমার
কান
দুটো
যেনো
কাইটেন
না
কারন
কান
না
থাকলে
তো
আমি
আর
বাবা
ডাক
শুনতে
পাবোনা।(আমি)
---হা হা
হা
তুই
এতো
ফাজিল
কেন।(মেয়ে)
--কেনো আপনি
কি
অন্য
কিছু
ভাবছিলেন....?(আমি)
--এই তুই
ফালতু
কথা
বাদ
দে
না
হলে
কিন্ত
তোকে
কেটেয়
ফেলবো।(মেয়ে)
---এই সরি
প্লিজ
ক্ষমা
করে
দেন
আর
বলবোনা।(আমি)
---আচ্ছা ঠিক
আছে
এর
পরে
যেনো
আর
এমন
ভুল
না
হয়
মনে
থাকে
যেনো।(মেয়ে)
---সত্যি আমি
না
অনেক
ভিতু
রাতে
যদি
কোনো
দিন
জোরে
ঝড়
বৃষ্টি
হয়
আর
যদি
মেঘের
গর্জন
দেয়
তখন
আমি
আমার
আম্মুে
কে
জড়িয়ে
ধরে
ঘুমিয়ে
পড়ি
না
হলে
আমার
খুব
ভয়
পায়।(আমি)
---হা হা
এতো
বড়ো
একটা
হাতি
ভয়তে
এখনো
আম্মুর
কাছে
ঘুমায়।
(মেয়ে)
---ছোট বেলায়
আমি
এক
বার
রাতে
হিসু
করতে
উঠে
কোথায়
থেকে
যেনো
বিড়াল
এ
মিউ
মিউ
করে
ডেকেছিলো আর
আমি
ভয়ে
সেখানে
দাড়িয়ে
দাড়িয়ে
হিসু
করে
ফেলে
ছিলাম।(আমি)
---হা হা
এই
তুই
আর
এসব
কথা
বলিস
না
হলে
আমি
হাসতে
হাসতে
মরে
যাবো।
(মেয়ে)
--আহা আপনার
দেখে
মনে
হচ্ছে
গরুই
হাম্বা
হাম্বা
করছে।(আমি)
হারামি
তুই
কি
বললি....?
(মেয়ে)
---কই তেমন
কিছু
বলিনি
তো
বললাম
যে
আপনার
হাসিটা
অনেক
সুন্দর। (আমি)
--- ও আচ্ছা।
তুই
ক্লাস
করবি
না....?(মেয়ে)
---হ্যা করবো
তো।।(আমি)
--- আর শোন
এবার
থেকে
তুই
আমাকে
তুমি
করে
বলবি।
(মেয়ে)
---ওকে। কিন্ত
আপনার
থুক্কু
তোমার
নামটা
কিন্ত
এখনো
বলোনি।(আমি)
---আমার নাম...
কথা..(মেয়ে)
---অয়াও নামটা
খুব
সুন্দর
নামের
উপরে
ক্রাশ
খেয়ে
গেলাম।
(আমি)
--ওই কি
বললি
তুই...?মেয়ে)
---কিছু না
বললাম
যে
তোমার
নামটা
খুব
সুন্দর। (আমি)
---ও তাই
তোকে
এত্তো
গুলো
ধন্যবাদ।(মেয়ে)
---এই যে
শোনো
আমার
না
আজকে
খুব
বেশি
খাওয়া
হয়ে
গেছে
সকালে
একবার
বাসা
থেকে
খেয়ে
এসেছি
আবার
এখানে
এসে
তুমি
খেতে
দিলা।(আমি)
---এই তুই
না
বললি
সকাল
থেকে
কিছু
খাইনি।(মেয়ে)
---ইয়ে মানে
কখন
বললাম।(আমি)
---কখন বললাম
মানে
তুই
তো
কিছুক্ষণ আগে
বললি
সকাল
থেকে
কিছু
খাই
নি।(মেয়ে)
----ও তাহলে
মনে
হয়
আমি
ভুল
করে
বলে
ছিলাম।(আমি)
---ওই হারামি
ভুল
করে
বলেছিলি মানে
তুই
যে
গুলো
খেয়েছিস তার
টাকা
দে
আর
যদি
না
দিস
তাহলে
তোর
এমন
মাইর
দেবো
জীবনে
ভুলতে
পারবি
না।(মেয়ে)
---এই কথা
শোনা
মাত্রয়
কে
ধরে
আমার
দিলাম
দৌড়।
---এক দৌড়ে
বাড়ি
চলে
আসলাম।
এই
গুন্ডি
মেয়ের
সাথে
থাকলে
আমার
এই
সুন্দর
জীবনটা
বেশি
দিন
সুন্দর
ভাবে
কাটাতে
পারবো
না।
--সন্ধায় একটু
পড়তে
বসলাম
কিন্ত
হঠাত
মাথা
যন্ত্রনা শুরু
হলো।
তাই
একটু
তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে
পড়লাম।
সকালে
প্রচন্ড মাথা
যন্ত্রনা আর
জর।
সব
মিলিয়ে
আমি
খুব
অসুস্থ
হয়ে
পড়লাম।
----অসুস্থতার কারনে
চার
দিন
কলেজে
যেতে
পারলাম
না।
---চার দিন
পরে
আজকে
আবার
কলেজে
যাচ্ছি।।
---বিশেষ কারনে
আজকেউ
কলেজে
যেতে
দেরি
হয়ে
গেছে
না
জানি
স্যার
আজকে
আবার
কি
বলবে।কলেজে গিয়ে......
---স্যার আসতে
পারি..?(আমি)
---তোমার আর
রুমে
আসা
লাগবেনা। বাইরে
গিয়ে
বাতাস
খাও(স্যার)
---কেনো স্যার
আমি
আবার
কি
করলাম..?(আমি)
--(রাগ দেখিয়ে).....কি করেছ মানে
ঘড়ির
দিকে
তাকিয়ে
দেখ
কয়টা
বাজে...?(স্যার)
---আমি ঘড়ির
দিকে
তাকিয়ে
দেখি
ক্লস
শেষ
হতে
আর
মাত্র
পাঁচ
মিনিট
বাকি
আছে।
--আর আমাকে
দেখে
ক্লাসের সবাই
হি
হি
হি
হি
করে
হাসছে।
--আমি আর
কিছু
না
বলে
ওখান
থেকে
চলে
এসে
কলেজের
কেম্পাসে একটা
গাছের
নিচে
এসে
বসলাম।
---এমন সময়
কে
যেনো
আমাকে
পিছন
থেকে
ডাকতে
লাগলো
আমি
পিছন
ঘুরে
না
দেখে
চুপ
চাপ
স্থির
হয়ে
সেখানেয় বসে
আছি।
---আমি তার
ডাকে
কোনো
সাড়া
দিলাম
না।
কিছুক্ষণ পরে
কে
যেনো
আমার
পিছন
থেকে
এসে
কান
ধরে
টানতে
লাগলো।
---অসুস্থতার কারনে
আর
এদিকে
স্যারের অপমান
সব
মিলিয়ে
আমার
মন
মেজেজ
টা
একটু
অন্য
রকম
ছিলো।।
---এদিকে আবার
আমার
কান
চিপ্পা
ধরে
টান
দিচ্ছে
আমি
পিছন
ঘুরেয়
জোরে
কষিয়ে
একটা
দিলাম
থাপ্পড়।।
---থাপ্পড় দেওয়ার
পরে
মুখের
দিকে
তাকিয়ে
দেখি
স্যারের মেয়ে
মানে
কথা।
---কথা তার
গালে
হাত
দিয়ে
আমার
দিকে
অবাক
হয়ে
তাকিয়ে
আছে
আর
কান্না
করছে।
--- সরি সরি
ভুল
করে
থাপ্পড়
টা
লেগে
গেছে
আর
পিছন
ঘুরেও
দেখিনি
যে
তুমি(আমি)
---কথা কিছু
না
বলে
কান্না
করতে
করতে
ক্লাস
রুমের
দিকে
চলে
গেলো।
ওর
রুমের
দিকে
যাওয়া
দেখে
আমিও
একটু
ভয়
পেয়ে
গেলাম
এবার
যদি
ওর
বাবাকে
বলে
দেয়
যে
আমি
ওকে
থাপ্পড়
মেরেছি।
আমি
মনে
মনে
ভাবতে
লাগলাম
আজকেই
মনে
হয়
এই
কলেজে
আসা
শেষ
দিন
আর
মনে
হয়
আসা
লাগবেনা।
---কিছুক্ষণ পরে
দেখি
রুম
থেকে
নিজের
ব্যাগটা নিয়ে
সোজা
বাড়ির
দিকে
হাটা
শুরু
করলো।
--আমি কথা
কে
আটকানোর চেষ্টা
করলাম
কিন্ত
কোনো
ভাবেই
সেটা
সম্ভব
হলো
না।
---পরের দিন
একটু
তাড়াতাড়ি করেই
কলেজে
আসলাম
না
হলে
স্যার
হয়তো
আমাকে
প্রতিদিন দেরি
করে
কলেজে
আসার
জন্য
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবে।
---আজ আমার
কপালে
কি
আছে
কে
জানে
কালকে
স্যারের মেয়েকে
থাপ্পড়
মেরেছি
আজকে
আমাকে
হয়তো
মেরেয়
ফেলবে।
সব
ভয়
ত্যাগ
করে
কলেজের
ভিতরে
ঢুকলাম
। আজকে গুন্ডি
মেয়েটাকে কোথাও
দেখছি
না
তো।যাক
বাবা
আজকে
দিনটা
ভালো
করে
ক্লাস
করতে
পারবো।
---তার পরের
দিনও
কলেজে
এসে
কথা
কে
কোথাও
দেখতে
পেলাম
না।
এভাবে
পর
পর
পাঁচ
দিন
গুন্ডি
মেয়েটার কলেজের
আসার
নামে
কোনো
কথা
নেই।
তাই
এই
কয়দিন
অনেক
ভালো
ভাবেই
সব
ক্লাস
গুলো
করতে
পেরেছি।
---তার পরের
দিন
আমি
ক্লাসে
বসে
আছি
এমন
সময়
আমার
জম
মানে
গুন্ডি
মেয়ে
কথা
এসে
আমার
জামার
কলার
ধরে
বাইরে
নিয়ে
আসলো।
গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা - Bangla Story |
অতঃপর
যা
হলো........
--- এই তুই
কি
কোনো
মেয়েকে
ভালোবাসিস..(কথা)
---এই প্লিজ
আপনি
আমার
জামার
কলার
ছাড়ুন।
(আমি)
---ওই হারামি
আমি
তোকে
যে
প্রশ্ন
করেছি
সেটার
উত্তর
দে....?(কথা)
---তোমার কি
মাথা
খারাপ
হয়ে
গেছে
নাকি
আর
আমার
মতো
ছেলেকে
কেউ
কখনো
ভালোবাসবেনা।(আমি)
---তাহলে কি
তুই
কোনো
মেয়েকে
পছন্দ
করিস....?(কথা)
---কেনো আমি
যদি
কাউকে
পছন্দ
করি
তাহলে
কি
তুমি
তার
সাথে
আমার
বিয়ে
দিয়ে
দিবা
তাই
তোমাকে
বললবো...?(আমি)
---তোর ফালতু
কথা
বাদ
দে
আগে
বল
তুই
কি
কোনো
মেয়েকে
পছন্দ
করিস...?(কথা)
--আমি (মনে
মনে)
একটু
চাপা
মেরে
দেখি
কি
হয়........
----হুম আমি
একটা
মেয়েকে
পছন্দ
করি।
(আমি)
---সেই মেয়ের
নাম
বল
তার
বাসার
ঠিকানা
দে....?(কথা)
--- ঠিকানা দিয়ে
তুমি
কি
করবা..?
(আমি)
---তোকে ঠিকানা
দিতে
বলছি
ঠিকানা
দে...?(মেয়ে)
--আমি (মনে
মনে)আর একটু চাপা
মেরে
দেখি
কি
হয়......
---ঠিকানা আর
কি
দেবো
আমাদের
কলেজে
পড়ে
সেই
মেয়েটা।(আমি)
---কে সেই
ডাইনি
নাম
বল....?(কথা)
---আসলে তো
আমি
তেমন
কোনো
মেয়েকে
পছন্দ
করে
রাখিনি। তাই
পাশ
দিয়ে
একটা
মেয়ে
যাচ্ছিলো সেই
মেয়েটাকে দেখিয়ে
দিলাম।
---ও তাহলে
এই
ডাইনি
মেয়ের
জন্য
তুই
আমার
সাথে
এমন
ব্যবহার করিস
তাই
না।
দেখ
এবার
তোর
ভালবাসার মানুষের তোর
চোখের
সামনে
কি
অবস্থা
করি.....
তার
পরে
যা
হলো
আমিতো
অবাক..
----এই মেয়ে
তুই
ওখানেয়
দাড়া
। তার পরে
কথা
মেয়েটার কাছে
গিয়ে
পর
পর
দুই
তিনটা
থাপ্পড়
মেরে
দিলো।
--আমি দৌড়ে
গিয়ে....
---এই তুমি
কি
করছো
আমি
তো
তোমার
সাথে
জাস্ট
ফান
করলাম
আর
মেয়েটাকে তো
আমি
চিনিনা। আর
একটা
কথা
মনে
রেখো
তোমার
মতো
গুন্ডি
মেয়ের
কপালে
কখনো
স্বামী
জুটবেনা এই
আমি
বলে
দিলাম।
---এই কথা
বলতে
যাহা
শেষ
হয়েছে
আমারও
পরপর
দুইটা
থাপ্পড়
মেরে
আমার
জামার
কলার
চিপ্পা
ধরে
চল
আজকেই
তোকে
আমি
বিয়ে
করবো।
---তোমার মতো
একটা
গুন্ডি
মেয়েকে
আমি
বিয়ে
করবো
অসম্ভব।
---ওকে তুই
যখন
আমাকে
বিয়ে
করবিনা
তখন
তোকেও
আর
এই
কলেজে
থাকা
লাগবেনা আব্বুকে বলে
তোকে
আমি
এই
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো।
---বললেই হলো
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবো
আমি
কি
অপরাধ
করেছি
তাই
আমাকে
কলেজ
থেকে
বের
করে
দেবে।
---তুই কোনো
অপরাধ
করিস
নাই
কিন্ত
আমি
মিথ্য
করে
আব্বুকে বলবো
সুমন
নামের
ছেলেটা
আমাকে
কলেজে
যাওয়া
এবং
আসার
পথে
বিরক্ত
করে।
---প্লিজ আপনি
আমার
সাথে
এমনটা
করবেন
না।
---তোকে আমি
কিছু
করবোনা
তাহলে
তুই
আমার
সাথে
বিয়ে
করতে
রাজি
হয়ে
যা।
----(মনে মনে)আমি আর কি
করবো
কলেজ
থেকে
যদি
আমাকে
বের
করে
দেয়
তাহলে
আমার
বাবা
আমাকে
গাছের
সাথে
বেধে
উত্তম
মাধ্যম
পিটানি
দেবে।
তাই
শেষ
পর্যন্ত আমি
রাজি
হয়ে
গেলাম।
----তোমকে আমি
বিয়ে
করতে
রাজি
তবে
আমারও
একটা
শর্ত
আছে....?(আমি)
-----কি শর্ত
বল.?(কথা)
---বিয়ে করবো
কিন্ত
তার
আগে
তোমার
সাথে
একটু
প্রেম
করবো।(আমি)
---ওরে আমার
গ্লু
গ্লু
বলেই
কথা
আমাকে
জড়িয়ে
ধরলো
আর
বললো
আমি
তোমার
শর্তে
রাজি।(কথা)
---এই তুমি
কি
করছো
ছাড়ো
সবাই
দেখবে
তো
(আমি)
----আমাকে প্রোপজ
করো..
(কথা)
---তুমার মাথায়
কিছু
আছে
না
সব
ফুরিয়ে
গেছে
প্রোপজ
করতে
হলে
তো
ফুল
লাগে।
(আমি)
--ও আচ্ছা
তাহলে
চলো
কোন
একটা
পার্কে
গিয়ে
দুজনে
বসি।(কথা)
---ওকে চলো...(আমি)
---তারপরে একটা
পার্ক
গেলাম....
অতোপর
যা
হলো...
---ওই যাও
তাড়াতাড়ি ফুল
কিনে
নিয়ে
আসো(কথা)
---(আরেকটু চাপা
মারি)
ওরে
যা
আমার
মানি
ব্যাগটা তো
আজকে
নিতেই
ভুলে
গেছি
আমার
কাছে
তো
টাকা
নেই।
(ডাহা
মিথ্যা
বললাম)(আমি)
---ওকে এই
নাও
টাকা....(কথা)
--তার পরে
সুন্দর
সুন্দর
দেখে
কয়েকটা
ফুল
কিনে
নিয়ে
এসে
প্রোপজ
করলাম।
----আই লাভ
ইউ
গুন্ডি
থুক্কু
গুন্ডি
না
কথা।
--ওই তুমি
আমাকে
গুন্ড
বললা
কেনো
------সরি সরি
----আই লাভ
ইউ
কথা
----আই লাভ
ইউ
সুমন
তার
পরে
চলতে
থাকলো
তাদের
ভালোবাসা
লেখক-Nistovdho Muhit