BANGLA STORY
এই তোর কি সমস্যা হুম, বেয়াদ্দব মেয়ে তোকে কতো বার বলবো। আমায় ডাকা ডাকি করবি নাহ্, তবুও কেনো এইসব চিপায় চাপায় দেখা করতে ডাকিস। তুই জানিস নাহ্ আমার এসব ভালো লাগে নাহ্। কতো বার বলবো তোকে এখন আর আমার ভালো লাাগে নাহ্। তোর সাথে আমার পক্ষে সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। আমি ভালবাসি নাহ্ তোকে, তবুও কেনো মানতে চাইছিস নাহ্। ফাজিলের ফাজিল । ছেলে টা একটানা কথা গুলো বলে নিঃশ্বাস নিলো। BANGLA STORY
- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
কি হয়েছে তোমার হঠাৎ কি হয়ে গেলো এমন করছো কেনো। আমি কি কোনও ভুল করেছি। তুমি বলো আমি কি করেছি, আমি ঠিক করে নেবো। তবুও প্লিজ সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা বলো নাহ্। কষ্ট হয় আমার খুব কষ্ট হয়, কেনো এরকম করছো। তুমি তো আগে এমন ছিলে নাহ্। আমি কি তোমায় কোনও কষ্ট দিয়েছি , দিলে বলো। নাহলে এমন করছো কেনো। কান্না করতে করতে BANGLA STORY
- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
দেখ ন্যাকামু করবি নাহ্, কেনো এসব ন্যাকা কান্নাঁ করছিস। বন্ধ কর এসব কাঁন্না কাটি। ধমক দিয়ে
-
ছেলেটার ধমক শুনে মেয়েটা ভয় পেয়ে চুপটি মেরে দাড়িয়ে রইলো। করুন দৃষ্টিতে ছেলেটার দিকে থাকিয়ে আছে,।
এই ভাবে হ্যাবলার মতো দাড়িয়ে না থেকে যাহ্ এখান থেকে। আর হে নেক্সট টাইম আমায় এসব জায়গায় ডাকবি নাহ্। আর ফোন তো ভুল করেও দিবি নাহ্।।
-
কিন্তু কেনো, কেনো ফোন করবো নাহ্। কি অপরাধ আমার তুমি না আমায় ভালবাসো। যখন ফোন দিতাম নাহ্ তখন অভীমান করে বসে থাকতা। আর আজকে যখন ফোন দিচ্ছি তো বিরক্ত হচ্ছো। তুমি যানো এই একটা মাস ঠিক মতো খেতে পারচ্ছি নাহ্ শুতে পারছি নাহ্। শুধু তোমার জন্য তুমি অবহেলা করছো বলে। জিসান পৃথিবীর সব কষ্ট সহ্য করা যায়। কিন্তু প্রিয় মানুষটার অবহেলা সহ্য করা যায় নাহ্। প্লিজ জিসান আমি কোনও ভুল করলে বলো আমি ঠিক করে নেবো। আমি যদি কোনও অপরাধ করে ফেলি। হয়তো আমায় শাস্তি দাও। নাহলে ক্ষমা করে দাও তবুও অবহেলা নামক কষ্ট দিয়ো নাহ্। সহ্য করতে পারবো নাহ্।। জিসানের পায়ে পড়ে কান্নাঁ করছে
-
এই কি হচ্ছে এসব ছাড় বলছি। পা ছাড় দেখ এসব ন্যাকামু করবি নাহ্। পাঁ ছাড় বলছি। জিসান কোনও রকম ভাবে ছাড়াতে পারচ্ছে নাহ্
- তাহলে বলো আমায় ছেড়ে যাবে নাহ্। আমার কোনও ভুল হলো ক্ষমা করে দাও
- এই বেটি কিসের ক্ষমা। আমি কি বলেছি তুই কোনও ভুল করেছিস
- তাহলে এমন করছো কেনো, কেনো এতো কষ্ট দিচ্ছো আমায়
- আমি তোকে কষ্ট দিচ্ছি নাহ্ তুই হুদাই কষ্ট পাচ্ছিস। এখনো ভালো আছে তুই তোর রাস্তা মাপ। এসব প্রেম ভালবাসা'র ভূত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে। পড়াশোনায় মন লাগা ভালো হবে। এখন আমার পা ছাড়।।
-রুমানা নিশ্চুপ বসে আছে পা দড়ে --
- কি হলো পাঁ ছাড় বলছি, চিৎকার করে। জিসানের চিৎকার শুনে রুমানা ভয়ে পাঁ ছেড়ে বসে পড়ে। জিসান সেখানে আর দাড়িয়ে না থেকে চলে গেলো। রুমানা সেখানেই বসে রইলো। ৬ বছরের ভালবাসা, এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। রুমানা ভাবতে পারেনি। আজকে বেঁচে থেকেও নিজেকে জিবন্ত লাশ মনে হচ্ছে। রুমানা ভাবতে পারচ্ছে নাহ্ জিসান কেনো এমন করলো। কি ভাবে এতোটা পাল্টি হয়ে গেলো। যাকে এতোটা মন প্রান উজার করে ভালবাসলো, তাকেই আজকে বলছে এসব ভালবাসা ভুলে রাস্তা মাপতে। চোখের সামনে প্রিয় মানুষটা এতোটা বদলে যাবে। সেটা কল্পনার বাহিরে ছিলো। রুমানা কখনো ভাবেনি জিসান এরকম করবে। নাকী নতুন কোনও রিলেশন করলো। কি হতে পারে এর পেছনে। একসময় কাঁদতে কাঁদতে এক বুক কষ্ট নিয়ে হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে ।
---
রাত দুইটার ও বেশি হবে, জিসান ছাঁদের কুনয় বসে সিগারেটে ডান দেয়। যদিও আগে এসব ছাই পাস খেতো নাহ্। এই কয়েক দিন হলো সিগারেট নামক জিনিস-টা জিসানের লাইফে এসেছে। এটা ছাড়া আপাদত আর কোনও ২য় কোনও অপশন নেই। রুমানা মেয়ে টাকে এখন একটু বেশিই ন্যাকামু করছে তাই। জিসানের এসব এখন আর ভালো লাগে নাহ্,। মেয়েটা একটু বেশিই করে ফেলছে। এতো অবহেলা আর অপমান করার পড়েও পিছু ছাড়তে চাইছে নাহ্। হয়তো নিজের থেকে ও বেশি ভালবাসে জিসানকে। প্রিয় মানুষটাকে হাড়াতে চায় না বলেই, এতো অবহেলা আর অপমান সহ্য করে যাচ্ছে। তবে জিসান রুমানাকে ভালবাসা নাহ্ তা ও নয়। জিসান ও খুব ভালবাসে রুমানাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি, কোনও এক বিকেলে হাতে হাত রেখে কথা দিয়ে ছিলো। আমার যতক্ষন আমার নিঃশ্বাস চলবে, জিবনের শেষ মুহূর্ত অব্দি তোমায় খুশিতে রাখবো কখনো তোমার খারাপ চাইবো না। কখনো তোমায় তিল পরিমান কষ্ট দেবো নাহ্। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থাকবো। কখনো তোমার চোখের কুনে জল আসতে দেবো নাহ্। তোমাকে তোমার মতো করে ভালবাসতে না পারলেও তোমায় সবার থেকে ভালো রাখতে পারবো। এতো ভালবাসবো যেটা সাত জন্মেও কেউ তোমায় বাসতে পারবে নাহ্। তোমার আম্মুর সাথে তুলনা দেবো নাহ্। কারন ওনি তোমায় দশ মাস পেটে, আর পনেরো মাস বুকে রেখেছেন। তোমার আম্মুর পরে যদি কেউ তোমায় সব চেয়ে বেশি ভালবেসে থাকে । তাহলে সেটা আমি। আমার আম্মুর পরে যদি কাউকে এতোটা ভালবেসে থাকি তাহলে সেটা তুমি। এমনটা নয় যে তোমার থেকেও বেশি আম্মুকে ভালবাসি। আবার এমনটা ও নয় আম্মুর থেকে তোমাকে বেশি ভালবাসি। এক কথায় তোমারা দুই জন আমার পৃথিবী।
-
তুমি কি পাগল হয়ে গেলা। কি সব বলছো মাথা ঠিক আছে তো তুমি শ্বাশুড়ি আম্মুর সাথে। আমার তুলনা করছো। ওনি তোমার মা ( আমি খুব লাকী, এমন একজন কে পেয়েছি, যে কিনা আমায় তার মায়ের পাশে নিয়ে বসিয়ে রেখেছে।, সত্যি এমন একজন ভালবাসার মানুষ পাওয়া আমার ভাগ্যের বিষয়।। রুমানা মনে মনে ভাবছে
হে আমি পাগল শুধু তোমার জন্য।
জানো আমার না আব্বু নেই। ছোট বেলায় মারা গিয়েছেন কখনো দেখিনি তাকে। সব চেয়ে বড় কথা হলো আমিও তাদের সন্তান নয় আমি একজন এতিম। আমার আম্মুর ভাইয়ের ছেলে আমি, ছোট বেলায় একটা রোড এক্সিডেন্টে আমার আব্বু আম্মু মারা গিয়েছেন। তার পর আমার ফুফু আর ফুফা আমায় তাদের বাসায় নিয়ে আসেন। বছর ২ এক যেতে না যেতে তিনিও মারা গিয়েছেন, যানো তখন আমার আম্মুর বয়স বেশি চিলো নাহ্, মাত্র ২৪ বছর ছিলো। ভালবেসে বিয়ে করে ছিলেন তিনি। আমার দিকে তাকিয়ে ২ বারের মতো বিয়ের পিরিতে বসেন নিহ্। তোমাকে এই কথা গুলো বলার একমাত্র কারন। বিয়ে তো তোমাকেই করবো। কোনও দিনও আমার আম্মুকে কষ্ট দিও নাহ্। সেদিন আমার কথা শুনে কেঁদে দিয়ে ছিলো মেয়েটা। শক্ত করে জরিয়ে ধরে ছিলো পার্কে সবার সামনে। মেয়ে দের মতো লজ্জায় আমি একদম লাল হয়ে গিয়ে ছিলাম। আশে পাশে থাকা ছেলে মেয়ে সবাই তাকিয়ে ছিলো আমাদের দিকে। অনেক কষ্টে রুমানাকে ছাড়িয়ে সেখান থেকে বের হয়ে এসে ছিলাম।
--------
রুমানার সাথে রিলেশনে যাওয়ার আগে ১ বছর ওর পিছু পিছু ঘুড়তে হয়ে ছিলো। এক বছর লেগে গিয়ে ছিলো মনের কথা বলতে। ভালবাসি বলার পরেও আরো ছয় মাস পেছনে ঘুরতে হয়েছে। রুমানা আমায় ছয় বছর থেকে ভালবাসলেও আমি ওকে সাত থেকে সারে সাত বছর হলো ভালবাসি।,যাকে এতোটা ভালবাসলাম তাকে কাছে পেয়েও দূরে শরিয়ে দিতে হচ্ছে। আমার যে কিছু করার নেই, এটাই ভাগ্যে ছিলো। (ভাবছেন আমি কেনো এরকম টা করছি। কেনো কষ্ট দিচ্ছি মেয়েটাকে, মাস্টার্স শেষ করেছি ১বছর হলো চাকরী বাকরী করার ও কোনও ইচ্ছে নেই। ব্যাবসা ও করবো নাহ্, কিন্তু কেনো করবো না, সেটা পড়ে যানতে পারবেন।
-
যাই হউক আবার ও রুমানার কল্, কথা বলার ইচ্ছে আছে। তবুও কল্ তুলছি নাহ্ ওর কান্নাঁ মাখা কথা গুলো শুনতে হবে তাই। ও কাঁদলে সহ্য হয় না আমার বুকের পা পাশে। লাগে, বড় ইচ্ছে হয় বলতে কাঁদিস না পাগলি আমি তো তোরি। বল তোকে ছেড়ে কোথায় যাবো। তোকে ছাড়া যে আমি বাঁচবো নাহ্। কিন্তু সেটা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একে একে বেশ কয়েক বার ফোন দিলো। আর ভালো লাগে নাহ্ যতক্ষণ না ফোন তুলবো। ততক্ষণ দিয়েই যাবে, নিজেকে ঠিক ঠাক ঘুছিয়ে নিয়ে কল্ তুললাম
-
কি সমস্যা তোমার ফোন তুলছি নাহ্, তবুও বেহায়ার মতো কেনো বার বার কল্ দিয়ে যাচ্ছো। লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই,। একি কথা কি বার বার বলতে হবে শুনি
-
এমন করছো কেনো, প্লিজ এরকম ভাবে কথা বলো নাহ্ খুব কষ্ট হয় তো। আর আমার কষ্ট তো তুমি সহ্য করতে পারো না। তাহলে কেনো এমন করছো
-
দেখ তোর এসব ফালতু কথা শুনার টাইম আমার কাছে নেই। প্রয়োজনীয় কথা থাকলে বল। না হলে ফোন রাখ আর অযথা আমায় ডিস্টার্ব করবি নাহ্। বাই ( অগ্নি কন্ঠে
-
এই প্লিজ ফোন কাটবে নাহ্, যানো আজকে ভাইয়া তোমাকে আর আমাকে একসাথে দেখে ফেলছে,।
-
তো আমি কি করবো। সেটা তো রোজ দেখে। তাহলে আজকে দেখলে সমস্যা কোথায়।। আমি
-
হে রোজ দেখে, কিন্তু আজকে আমি তোমার পায়ে জরিয়ে ধরে ছিলাম, তাই বাসায় এসে সবাইকে বলে দিয়েছে। আর আজকাল তোমার আর আমার বেতরে কি হচ্ছে সব কিছু ওনারা জেনে গিয়েছেন।
- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
জানলে জানুক আমার কি। আমি কি করতে পারি
-
তুমি কি করতে পারো মানে, তুমি আমাদের বাসায় আসো, নাহলে অন্য কোথাও আমার বিয়ে দিয়ে দেবে। রুমানা কাঁদতে কাঁদতে
-
দেখ বোন সব কিছু রেখে আগে তোর ন্যাকামু বন্ধ কর। কতো বার বলবো তোর এই সব ন্যাকা কান্নাকাটি আমার ভালো লাগে না। শুন তোর বিয়ে অন্য কোথাও হলে সমস্যা কোথায় হউক না। এখানে আমি কি করতে পারি। আর হে অনেক দিন হলো কারো বিয়ের দাওয়াত খাইনা। এবার না হয় তোর টা খাবো।এখন ফোন রাখ ( আর কিছু বলতে দিনাম নাহ্ খুব কষ্টে কথা গুলো বলে ছিলাম। আমার আর রুমানার রিলেশনের বিষয় ওর ফ্যামেলির সবাই জানে, সবাই রাজি ও ছিলো আমার সাথে রুমানার বিয়ে দিতে। কথা ছিলো রুমানার পড়াশোনা শেষ হবার পরে, আমাদের বিয়ে হবে। আর এদিকে বেশ কিছু দিন হলো রুমানা ঠিক ঠাক খাওয়া দাওয়া করছে নাহ্ কলেজেও যাচ্ছে নাহ্, কেমন জেনো শুকিয়ে যাচ্ছে চোখের নিছে কালো দাগ পরে গিয়েছে। বাবা মা ভাই বোনদের চোখের সামনে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। বেশ কয়েক বার জানতেও চাই ছিলেন, রুমানার কাছে এই বিষয়ে রুমানা কাউকে কিছু বলেনি। আর আজকে ওর ভাই সব কিছু নিজের চোখে দেখে নিলো। পড়ে খুজ নিয়ে যানতে পারে। আজকাল জিসান আর রুমানার মধ্যে তেমন একটা মিল নেই। জিসান পাল্টে গিয়েছে, যার ফলে তার বোন তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব কিছু রুমানার ফ্যামেলি শুনার পর, ওনারা চাইছেন যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব রুমানার বিয়ে দিয়ে দিতে। নাহলে কখন কি করে বসে কে জানে। তা'ছাড়া কোনও বাবা মা চাইবে নাহ্। তাদের মেয়ে এই ভাবে দিনে দিনে শেষ হয়ে যাক।
-
আর এদিকে ফোন কেটে দিয়ে রুমানা হাউমাউ করে কান্না করছে, কি করবে কিছুই মাথায় ডোকছে না। কেনো করছে জিসান এরকম টা, গত ৬ বছরে তো। কোনও দিন এরকম করে নি। তাহলে হঠাৎ করে সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে চাইছে কেনো। নাকী নতুন করে কারো সাথে রিলেশনে জরিয়েছে, হয়তো মেয়েটা আমার থেকেও সুন্দরী। তাই তো জিসান আমায় অবহেলা আর অপমান করছে। সরাসরি বলে দিলেই তো পারতো। এতো নাটকের কি প্রয়োজন।, সাত পাচঁ ভাবছে রুমানা আর চোখের জল ফেলছে। সময় যাচ্চে দিন এগুচ্ছে দূরত্ব বাড়ছে জিসানের অবহেলা আর অপমান, আরও দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। জিসান কে ছাড়া একেক টা দিন একেক বছরের সমান হয়ে যাচ্ছে রুমানার। বেঁচে থাকার ইচ্ছে-টাও চলে যাচ্ছে রুমানার। জিসানকে এতোটা ভালবাসে রুমানা তাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা কল্পনা করতে পারচ্ছে নাহ্। সেখানে আজ এতোটা দিন হয়ে গেলো, জিসান তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
-
১৫ দিন চলে গেলো। এর বেতরে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারে নি, জিসান তার সিম পাল্টে ফেলেছে, বন্ধুদের কাছে ফোন দিয়েও কিছু জানতে পারে নি। কেউ জিসানের খবর জানে নাহ্।
দেখতে দেখতে রুমানার বিয়ের দিন এগিয়ে আসচ্ছে আর মাত্র। তিন দিন সময় আছে বিয়ের । তার বাবা মা আর ভাই মিলে পাত্র পচন্দ করেছেন। ছেলে usa তে থাকে বেতন১ লক্ষ। বিয়ের পর রুমানাকেও নিয়ে যাবে। রুমানা আজকে জানতে পারলো , কিন্তু রুমানার একটাই কথা বিয়ে করলে জিসান কেই করবে নাহলে গলায় দড়ি দেবে,। আজকে যে করেই হউক জিসানের সাথে দেখা করতে হবে,। নাহলে বাবা মায়ের পচন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে হবে। আতিক কে কল্ দিলো ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
-
হ্যালো, আতিক ভাই
- হুম বলো
- ভাই জিসান আছে,
- ..... নাহ্ তো ( আতিক জিসানের দিকে থাকিয়ে, বললো. জিসান তখন তার পাশেই ছিলো)
- আচ্ছা ওর নতুন নাম্বার টা দেওয়া যাবে।। রুমানা
- জিসানের নতুন নাম্বার তো আমার কাছে নেই। আর আজকাল আমাদের সাথে দেখাও করে নাহ্।। আতিক, ( কথা গুলো জিসান আতিকে শিখিয়ে দিচ্ছিলো
- না ভাই আমি বিশ্বাস করতে পারচ্ছি। প্লিজ ভাই দাও না ওর নাম্বার টা,।। অনুরুধ করে বলছে
- আরে আমি সত্যি বলছি, আজকাল জিসানের খুজঁ খবর নাই। বাসায় গেলেও খুঁজে পাওয়া যায় নাহ।কোথায় থাকে সেটাও জানি নাহ্। জানলে কি আর তোমাকে বলতাম নাহ্ বলো।। আতিক
- আমি জানি আতিক ভাই জিসান তোমার আশে পাশে কোথাও আছে। ও তোমার সাথে রোজ দেখা করে। কারন ও তোমার বেষ্ট ফেন্ড। যাই হউক দেখা হলে বলবে কালকে বিকেল ৫:৩০ ********য়ে চলে আসতে। আমি অপেক্ষায় থাকবো।,। রুমানা
- আচ্ছা দেখা তো হয় না। তবুও যদি দেখা হয় তো বলবো।। আতিক
- প্লিজ ভাই যে করেই হউক বলো কিন্তু।
- ওকেহ্
---- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
কিরে মামা এখন কি করবি, দেখা করতে যাবি নাকী।। আতিক
- হে যেথে হবে, না গেলে সমস্যায় পড়ে যাবো। তিন দিন পর ওর বিয়ে। তাই ইচ্ছে না থাকলে ও যেতে হবে কালকে। আর কালকেই সব সমস্যার সমাপ্তি হবে।। জিসান
- ওহ্ তার মানে রুমানার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু কালকে সব কিছুর ইতি কিভাবে ঠানবি শুনি।। আতিক
- শুন তোর ********************* বুঝতে পারলি। সো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায় আছি।। জিসান
- তুই যেটা ভালো ভুজিস সেটাই কর, আমি জানি তুই যাহ্ করবি তা রুমানার ভালোর জন্য করবি।
------------ পরের দিন ----
ঠিকঠাক সময় মতো এসে। সেই চিরচেনা যায়গায় বসে আছে, কিন্তু জিসানের খবর নেই। হঠাৎ কিছুটা দূরে দেখতে পেলো একটা বেঞ্চে বসে আছে জিসান পাশে একটা মেয়েও আছে। আস্তে আস্তে কাছে গেলো, গিয়ে দেখে জিসান সেই মেয়েটার হাতে হাত রেখে হেসে হেসে কথা বলছে। রুমানা সামনে গিয়ে দাড়িয়ে রইলো। প্রথমে দেখেও না দেখার মতো করে রইলো।
- ওহ্ তুই এসেছিস, বল কি বলতে এসেছিস,
- তার আগে বলো এই মেয়েটা কে। রুমানা
- ওহ্, ও হলো রিয়া আমার গাল ফেন্ড, ১ মাস হলো রিলশনে গিয়েছি। আর রিয়া তোমাকে বলে ছিলাম নাহ। রুমানার কথা ও হলো রুমানা আমার ফেন্ড।। জিসানের এমন কথা শুনে রুমানা থ মরে দাড়িয়ে রইলো।
-
জিসান ফেন্ড মা মা মানেহহহ, আমি তোমার ফেন্ড কবে হয়ে গেলাম। প্লিজ যোগ বন্ধ করো এসব ভালো লাগছে নাহ্ । রুমানা তোতলাতে তোতলাতে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো। দুই চোখ ঝাপসা হয়ে আসচ্ছে
-
হে ফেন্ড মানে ফেন্ড, তো কি হয়েছে। সেটা কবে হবে আবার। আচ্ছা এতো পেচাল না করে মধ্যে পর আসো। কিসের জন্য ডাকলে বলো। আমার হাতে সময় খুব কম।। জিসান
-
জিসান আর মাত্র ৩ দিন আছে আমার বিয়ের। তুমি প্লিজ কিছু একটা করো। আমি তোমায় ছাড়া বাঁচবো নাহ্। মরে যাবো আমি তবুও তোমায় ছাড়া, অন্য কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।। কাঁন্না মিশিতো কন্ঠে.........
-
চুপ আর একটাও কথা বলবি নাহ্। কি শুরু করেছিস এসব। তোর বিয়ে হয়ে গেলে আমি কি করবো। আর তুই আমায় ছাড়া বাঁচবি কি না মরবি তা আমার থেকে তুই ভালো জানিস।। জিসান রেগে
- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
বাবু কি বলছে মেয়ে, টা। তুমি না বললা ও তোমার ফেন্ড তাহলে বলছে কেনো ও তোমায় ছাড়া বাঁচবে নাহ্। সত্যি করে বলো ও তোমার কি হয়। নাকি তুমি আমার সাথে টাইমপাস করছো।। রিয়া
-
না বাবু টাইমপাস কেনো করবো। আমি তোমায় সত্যি ভালবাসি। আর রুমানার কথা বলছো তো। তাহলে শুনো ও একটা পাগল মাথায় হালকা গন্ড গুল আছে। আমি ওকে ভাল টালো বাসি নাহ্ বিশ্বাস করো।। জিসান
-
রুমানা জিসানের মুখে এসব শুনে রেগে লাল হয়ে যাচ্ছে। সাথে কষ্টে বুকটা ফেটে কলিজায় গিয়ে আঘাত করছে।,
ঠাসসস - কেনো এরকম করছো আমার সাথে কি ক্ষতি করেছি আমি তোমার। কেনো আমায় নিয়ে চিনিমিনি খেললে। কেনো ভালবাসার নামে অভিনয় করলে। ভাল যদি নাই বাসবে তাহলে কেনো ভালবাসা শিখিয়ে ছিলে আমায়। একটা সময় কুকুরের মতো আমার পেছনে ঘুড়তি আর আজকে আমাকে ঘুড়াচ্ছিস। কেনো এতো এতো অবহেলা আর অপমান করছিস। আমাকে এখন আর ভাল লাগে নাহ্ তুই অন্য কাউকে ভালবাসিস
শুধু একবার বলে দিলে পারতি আমি তোর লাইফ থেকে চলে যেতাম। কিন্তু তুই সেটা করলি না, উল্ট আমায় অবহেলা করেছিস। দিনের পর দিন অপমান করেছিস। তাও কিচ্ছু বলিনি শুধু ভালবাসি বলে। আর আজকে সেই তুই আমার সামনে অন্য একটা মেয়েকে বলছিস ভালবাসি। তুই যদি আমাকে ছেড়ে ভালো থাকতে পারিস তাহলে আমিও পারবো। এইনে আমার বিয়ের কার্ড পরশু আমার বিয়ে চলে আসিস।
-
জিসান থু মেরে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুমানা আবার বলতে লাগলো।
।
খুব ভালবাসতাম তোকে তোর জন্য শুধু তোর জন্য আজকে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি, শুধু মাত্র তোর উপরে ভরসা করে। আমি ভেবে ছিলাম তুই মুখে যাই বলিস না কেনো। ভালো তো আমাকেই বাসিস। মনে করে ছিলাম আমি আসার পর বলবি। সরি বাবু তোমায় কষ্ট দেওয়ার জন্য। আবার আপন করে নিবি আমায়। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম বিশ্বাস আশা আর ভরসা সবার উপরে করা যায় না। যাকে সব কিছু দিয়ে ভালবাসা যায়। তাকেই বিশ্বাস করা যায়। তবে সেটা ভুল মানুষকে ভালবাসলে বিপদজনক হতে পারে। আমিও সেটা করেছি ভুল মানুষকে ভালবেসে সব কিছু দিয়েছি। তুই কারো ভালবাসা পাওয়া জঘ্য নয়। রুমানা কাঁন্নায় ভেঙ্গে পরেছে.।আশে পাশের লোক জন ও দূর থেকে থাকিয়ে আছে। জদিও এখানের সবাই সেইম বয়েসি।
-
বাবু তুমি ঠিকি বলেছো মেয়েটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। দেখছো না কি সব বলছে উল্টা পাল্টা। দেখো লকজন কিভাবে আমাদের দিকে থাকিয়ে আছে। চলো এখানে দাড়িয়ে থাকলে। আমাদের কেও পাগল বলবে।। রিয়া
-
এই তুই কি কি কি বলছিস যা এখান থেকে, এই তোর বাবুকে হুম জানিস বাবু কাকে বলে তুই কি ওকে দশমাস পেটে ধরেছিস। চোখের পানি মুছে ধমক দিলো।
-
রুমানা মুখ সামলে কথা বল। আমার সামনে আমার গাল্ ফেন্ডকে তুই এইভাবে বলতে পারিস না।। জিসান
-
তাহলে আমি কে হুম ও তোমার গালফেন্ড হলে আমি তোমার কি হই। সরি জিসান আমি রাগের বসে তোমার সাথে উল্টা পাল্টা কি সব বলে দিয়েছি। ক্ষমা করে দাও আমাকে। চলো না আমরা পালিয়ে যাই। নাহলে আব্বু আমার বিয়ে অন্য কারো সাথে দিয়ে দেবে।। জিসানের হাতে ধরে অনুরুদ্ধ করে বলছে
-
এই তুই কি বলতো। একি কথা কতো বার বলেছি এখন ও বলছি আমি এখন আর তোকে ভালবাসি না। তুই কেনো ভুজতে চাইছিস নাহ্। আমি এখন রিয়াকে ভালবাসি ও আমার জান ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো নাহ্। চিৎকার করে
-
প্লিজ জিসান এমন করে বলো না। আমি জানি তুমি রিয়া কে ভাল বাসো নাহ্। তুমি শুধু আমার আমাকেই ভালবাসো। কেনো এমন করছো। প্লিজ এমন করো নাহ্ খুব কষ্ট হয় আমার। তোমার মুখে অন্য কাউকে ভালবাসি সব্দটা তীরের মতো গিয়ে কলিজায় লাগে। এই দেখো গাড়িতে আমি কাপর আর ব্যাগ রেখে এসেছি। তুমি শুধু চলো আমার সাথে। টাকা পয়সা আমি সাথে করে নিয়ে এসেছি,সাথে সোনা ও আছে দুই তিন বছর আরামছে কেঠে যাবো। তোমায় কোনও কাজ করতে হবে না। অবশেষে জিসানের পায়ে জরিয়ে ধরলো। চলো না আমরা বিয়ে করে নিই। প্লিজ চলো
-
এই দেখো এখন কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে, পা ছাড়ো বলছি চিৎকার করে। সাথে সাথে রুমানা পা ছেড়ে দিলো। আশে পাসে থাকা লোকজন ও এবার বির করলো। কি সমস্যা কি তোমার হুম আমি কি বলছি সেটা কানে যায় না। রোজ রোজ একি তরকারি দিয়ে খেতে ভালো লাগে। লাগে না, তেমনি রোজ একি গালফেন্ড ও না। আগে তোকে ভালবাসতাম এখন বাসি না। আমি কি বলতে চাইছি সেটা তুমি খুব ভালো করে ভুজতে পারছো। সো আমাকে আর কোনও দিন বিরক্ত করো নাহ্। আর হে যাও আংকেলের পচন্দের ছেলেকে বিয়ে করে নাও। আমার থেকে ছেলেটা তোমায় বেশি হাসি খুশি রাখবে। খুব ভালো রাখবে তোমায়। আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি। এখন আবার রাগের বসে গলায় দড়ি দিও নাহ্।
-
চুপ আর তুই একটাও কথা বলবি না্।আমি কি করবো না করবো সেটা তোর বলে দিতে হবে না। ভালো থাকি তুই। আর হে আমার সাথে তুই ভালবাসার অভিনয় করে, আমাকে যতটা কষ্ট তুই দিয়েছিস। ঠিক সেই ভাবে তোকেও কেউ না কেউ কষ্ট দেবে। তখন তুই আমার কস্ট টা ভুজতে পারবি। আজকে আমি যে ভাবে কাঁদছি নাহ্। একদিন আমার থেকেও বেশি কাদবি তুই। আমি অবিষাপ দিচ্ছি না।এটাই নিয়তি যেমন কর্ম তেমন ফল। বাই দ্যা ওয়ে, আমি কেনো তোর মতো একটা বেইমান পাষানের পায়ের কাছে বসে আছি। চলি রুমানা কাঁদতে কাদতে চলে গেলো। একবারও পেছনে ফিরে থাকায় নি। থাকালে হয়তো আমি কাঁদতে জানি এটা দেখতে পেতো।
-
জিসান ভাই কাজটা কি ঠিক হলো,আমার তো মনে হয় আপনিও আপুকে ভালবাসেন। তাহলে আমাকে দিয়ে এই অভিনয় করানোর মানে কি।। রিয়া
-
ওটা তুমি ভুঝবে নাহ্। ধন্যবাদ আমাকে হেল্প করার জন্য।।বলেই একপা একপা করে এগিয়ে চলেছি বাসার দিকে
----------
আপনার সাথে কেউ এসেছে " নাকী আপনি একাই এসেছেন।। ডাক্তার
-
নাহ্ আমি একাই এসেছি। কি হয়েছে বলুন কিছু ধরা পরেছে " = আমি
-
দেখুন আপনি অনেক ধেরি করে ফেলেছেন" যত দূরত্ব সম্ভব আপনাকে ভর্তি হতে হবে।। ডাক্তার
-
আরে শুধু শুধু ভয় দেখাচ্ছেন কেনো। কি হয়েছে সেটা তো বলুন।।
-
আপনার ব্রেন টিউমার " আর সেটা অনেকে আগে থেকেই" এখন সেটা দিন দিন বড় হতে চলেছে আপনাকে যত দূরত্ব অপারেশন করাতে হবে। আর সেটাতে আপনার বাঁচার চান্স ০৫% । খুব শান্ত শুরেই বললো
-
সব কিছু শুনার পর জিসানের চুপ থাকা ছাড়া আর কিছু বলার ছিলো নাহ্।, শুধু এই টুকু বলে ছিলো। রিপ্রর্টে কোন ভুল হয় নি তো।। ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
-
নাহ্, তবুও আপনি বিশ্বাস না করলে অন্য কোথাও টেষ্ট করিয়ে দেখতে পারেন।,,আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ হসপিটাল থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে আসলাম। সেদিন দরজা বন্ধ করে অনেক কেঁদে ছিলাম। আল্লাহ তুমি এতো নিষ্টুর কিভাবে হতে পারো। ছোট বেলা আব্বু আম্মুকে আমার থেকে কেরে নিলে। আবারও আম্মু আর রুমানাকে আমার থেকে কেরে নিতে চাইছো। ভালোই করছো আব্বু আম্মুকে কেরে নিয়েও তোমার হয়নি। এখন আমমাকেই নিয়ে নাও। জন্ম নিলে মরতে হয়, তাহলে এখনি কেনো আরো কিছুটা সময় কি আমায় দেওয়া যায় না। ইয়া আল্লাহ্ রুমানা মেয়ে টাকে আমি ভিষন ভালবাসি, সেও আমায় ভালবাসে। এখন থাকে আমি কি বলবো। কি বলবো আমার আম্মুকে। যে আমায় পেটে না ধরলেও আমার জন্য এতো কিছু ত্যাগ দিলো। তাকে কিভাবে বলি, আমি তোমায় ছেড়ে পৃথীবির সব মায়া ত্যাগ করে চলে যাবো ।, সেদিন খুব কেঁদে ছিলাম, রুমানা এসব শুনলে খুব কষ্ট পাবে। হয়তো পাগল হয়ে যাবো। কারব সে আমায় ভালবাসে পচুর পরিমান।, সেদিন ঠিক করে ছিলাম আমার যা হবার হবে। রুমানাকে জানতে দেওয়া যাবে না। আমার জন্য তো আর রুমানার জিবনটা নষ্ট করে লাভ নেই।।
------
আজকে হাটতে হাটতে বাসায় ফিরেছি। রাত দশটা হয়ে গিয়েছে। ২ কিলো রাস্তা ৪ ঘন্টায় হেটে এসেছি। আম্মু খাবার নিয়ে বসে আছেন। অল্প কিছুটা খেয়ে ছাদে চলে গেলাম। কি করবো আমার যে মুখ দিয়ে খাবার বেতরে ডোকছে নাহ্।
-------- ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
আজকে রুমানার বিয়ে। এতো কিছুর পরেও মেয়েটা বেহায়ার মতো। আমাকে ওদের বাসার পেছনে ডেকে ছিলো। অনেক কান্নাকাটি ও করেছে। বার বার বলছিলো। চলো না আমরা বিয়ে করে নিই। যা কিছু হবার তা তো হয়ে গিয়েছে। সব কিছু ভুলে যাও। তুমি না বলতা আমাকে ছাড়া বাঁচবা নাহ্। তাহলে এখন কিভাবে বেঁচে থাকবে। অনেক ভুঝিয়েছিলো আমায়, তবুও পাষানের মতো ওকে একা রেখে চলে এসেছি। বার বার জরিয়ে ধরছিলো। আর কান্না তো আছেই। সাথে আমিও কেঁদেছি কিন্তু তাকে ভুঝতে দিও নি।।
পিচ ঢালা পতে লেম পোষ্টের আবছা আলোও হেটে চলেছি। আজ জিবন আর মৃর্তুর কাছে ভালবাসা অসহায়। এখানে আমি চাইলেও কিছু করতে পারবো নাহ্। আমার জিবনটাএখন ভাঙ্গা নোকার মতো হয়ে গিয়েছে, কখন ডুবে যায় তার কোনও ঠিক নেই। সেই ভাঙ্গা নোকায় আমি রুমানাকে তুলে ডুবিয়ে মারতে চাই নাহ্। সত্যি কারের ভালবাসা এমনি হয়। একজন মন থেকে ভালবাসলেও অন্যজন অভীনয় করে। আবার দুইজন দুজন কে মনথেকে ভালবাসলে। কখনও ভা ফ্যামেলির লোক অভিনয় করে। আর কখনও জিবনটাই অভীনয় করে ফেলে। রুমানা আর জিসানের ভালবাসায় তো সব কিছুরি পূর্নতা ছিলো। ভালবাসাটাও সত্যি কারের ছিলো। ফ্যামেলিও রাজি ছিলো। শুধু নিয়তি রাজি ছিলো না। তাই তো দূরে সরিয়ে দিলো তাদেরকে
সত্যি কারের ভালবাসা এমনি হয়। ১০০%, পূর্নতা পায় ২%। সেই টু পার্সেনে হয়তো রুমানা আর জিসানের নাম ছিলো নাহ। ভালবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের গল্প, bangla story, bangla golpo, valobasar golpo
হে রুমানা আমি পাষান আমি বেইমান। আমি তোমার ভালবাসা নিয়ে খেলা করেছি।
*তোমাকে ভালো রাখতে যদি আমাকে পাষান হতে হয়। তাহলে আমি পাষান
*তোমার ভালো চাইতে গিয়ে যদি আমাকে বেইমান হতে হয়। তাহলে আমি বেইমান,।তুমি বলে ছিলে নাহ্ তোমার মতো করে আমাকেও কেউ কষ্ট দেবে। পারবে না রুমানা। পারবে না। আমি তো বেচেই থাকবো নাহ্। কয়েক বছর পর হয়তো আর তোমার মনে আমি থাকবো না। থাকবে না আমার ভালবাসা। শুধু থাকবে আমার জন্য ঘৃনা। আমার বিয়্বাস সত্যিটা তুমি একদিন ঠিকি জানতে পারবে। তখন আমার কথা ভেবে তোমার চোখ থেকে জল নাও বের হতে পারে। থাক ওসব কথা আজকে রাতটায় আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারবো। কারন আজ থেকে তুমি আমায় ভুলে যাবে। আজ থেকে আমাকে আর তোমার জন্য টেনশন করতে হবে না। আর রাত জেগে তোমাকে কান্না করতে হবে না। আমাকেও তোমার জন্য কাঁদতে হবে নাহ্। সত্যিকারের ভালবাসা সবার কপালে সয় না। আমার কপালেও সয়নি। আজ থেকে আমার আর কোনও টেনশন নেই। শুধু আম্মুর জন্য কষ্ট হয়। আম্মু আমাকে মাফ করেও দিও। আনমনে হাটছি আর এসব ভাবছি। এখন হয়তো রুমানা অন্য কারো জন্য বাসর গড়ে লাল শাড়ি পরে বসে অপেক্ষা করছে। রুমানা আমিও অপেক্ষা করছি। আমাদের অপেক্ষার মিল নেই। তুমি বউ সেজে বরের জন্য অপেক্ষা করছো। আর আমি মাথায় কাপনের কাপর বেধে মূর্তুর অপেক্ষায় বসে আছি। কখন আসবে আর কখন নিয়ে যাবে আমায়। চোখের পানি সার্টের হাত দিয়ে মুছে নিয়ে মুচকি হাসি দিলো ছেলেটা। BANGLA STORY
লেখক - তানভীর আহমেদ জিসান